ঝিনাইদহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ ২৭, লাশ উদ্ধার ২৩
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলা ঝিনাইদহ। চরমপন্থী-সর্বহারা অধ্যুষিত এই জেলার মানুষ এক সময়ে আতঙ্কে দিন কাটাতো। সময়ের সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানামূখী তৎপরতার মুখে চরমপন্থী-সর্বহারাদের দিন ফুরিয়েছে। কিন্তু ওই জেলাবাসীর অনাহুত মৃত্যু পরোয়ানা আতঙ্কের দিন ফুরায়নি।
চরমপন্থী আর সর্বহারাদের অমানবিক আচরণের শিকার হওয়া ওইসব জেলার মানুষগুলো তাদের নিয়তি বলে মেনে নিলেও এখন রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুম-খুনের ঘটনাগুলোকে কি বলে মেনে নেবে ? চরমপন্থী আর সর্বহারাদের কর্মকাণ্ডের বিচার চাওয়া তাদের আইনি অধিকারে পরিণত হলেও এখন কার কাছে কিসের বিচার চাইবে, তা তাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।
ঝিনাইদহবাসীর ভাগ্যে বিগত সময়ে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ২৭ ব্যক্তিকে অপহরণের পর ২৩ জনের লাশ পাওয়া গিয়েছে। গত এক মাসের ব্যবধানে তাদের ভাগ্যে মিলেছে আরও ৪ লাশ। লাশের পর লাশ, অপহরণ আর গুম এ সবই এখন ঝিনাইদহবাসীর নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার মিলছে না।
নিহতদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকায় বিচারের আশাও ছেড়ে দিয়েছে স্বজনরা।
কোন উত্তরও নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তারা এসব ঘটনার পর শুধুই বলছেন, ‘দেখা যাক কি করা যায়, খোঁজ নিয়ে দেখছি আসল ঘটনা কি’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে একের পর এক অপহরণের অভিযোগ আর লাশ পাওয়ার ঘটনাকে বলছেন, অভিযোগ উঠতেই পারে। কারও মুখতো আর চাপা দিয়ে বন্ধ করে রাখা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণের অভিযোগ মিথ্যা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।