মধ্যরাত থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দর
অনেক আগে থেকেই ডিজেল, পেট্রোল এবং অকটেনের দর কমানোর কথা শোনা গেলেও সম্প্রতি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রবিবার (২৪এপ্রিল) বিকালে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেছেন, মধ্যরাত থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
ডিজেল, পেট্রোল, অকটেন ও কেরোসিনের দর কী পরিমাণ কমানো হচ্ছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিপত্র আসছে।’
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয়ের সময় বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন প্রতি লিটার অকটেন ৯৯ টাকা, পেট্রোল ৯৬ টাকা, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এরপর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ব্যাপক দরপতনে সব মহল থেকে দাবি উঠলেও বাংলাদেশ সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছিল না। সেজন্য বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের এতদিনের ভর্তুকির লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার যুক্তি দেখানো হয়।
এরপর গত ৩১ এপ্রিল ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। সেই সিদ্ধান্তের পর ৪ এপ্রিল জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ অন্য সব জ্বালানি তেলের দামও ১০ দিনের মধ্যে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হল ১৯ দিন পর।
জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে পরিবহন ভাড়াও সেই হারে কমানো হবে বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বাংলাদেশে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও যানবাহন বৃদ্ধির কারণে গত কয়েক বছর ধরে ৫০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা তৈরি হয়েছে; যার মধ্যে প্রায় সবই আমদানি করতে হয়।
বাংলাদেশকে এখন পেট্রোল আমদানি করতে হয় না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল বলছেন, সরকার অকটেনও আর আমদানি করতে চায় না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।