- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- সাতক্ষীরায় বাগদা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয়
সাতক্ষীরায় বাগদা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয়
সাতক্ষীরায় মৌসুমের শুরুতেই ঘেরে ভাইরাস লাগায় বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় দেখা দিয়েছে। জেলা মৎস্য অফিস গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন বেশি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বছরের শুরুতে ঘেরে ভাইরাস ও প্রচণ্ড গরমে মাছ মারা যাওয়ায় বাগদা চিংড়ি চাষের সরকারের রাজস্ব অর্জনে সংশয় দেখা দিয়েছে। এতে হতাশ হয়ে পড়েছে চাষীরা। অন্যদিকে, চাষীরা মারত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
জানা যায়, জেলায় এ বছর ৬৬ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে। উৎপাদান লক্ষ্যমাত্রা ২২ হাজার ১২০ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় তিন হাজার মেট্রিক টন বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশয় দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৬৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৭ হাজার ৩৯৭ হেক্টর, দেবহাটায় ৮ হাজার ৮৯৩ হেক্টর, কালিগঞ্জে ১৫ হাজার ৯৮৭ হেক্টর, শ্যামনগরে ১৭ হাজার ৫০০ ও তালায় ৩ হাজার ৩৮ হেক্টর জমিতে বাগদা চিংড়ি চাষ হচ্ছে।
ঘের ব্যবসায়ীরা জানান, ঘেরে রেণু ছাড়ার পর মাছ একটু বড় হওয়ার পরপরই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে মাছ মারাও যাচ্ছে। এতে করে মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বাগদা চিংড়ি রপ্তানীর সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা সাতক্ষীরা থেকে আসে। তবে এ বছর শুরুতেই ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রচণ্ড গরমে মাছ মারা যাচ্ছে। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। যেখানে ঘেরের পানির তাপমাত্রা ২৫-৩০ ডিগ্রি থাকার কথা সেখানে তাপমাত্রা রয়েছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। চাষীরাও হতাশ হয়ে পড়ছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।