কে-৪ মিসাইল দেখে আতঙ্কে পাকিস্তান, তীব্র ক্ষোভ জানাল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানকে না জানিয়ে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযেগ্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া উচিত হয়নি ভারতের। বলল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করে পাক বিদেশ মন্ত্রকের অভিযোগ, ভারত মহাসাগরকেও নয়াদিল্লি পারমাণবিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করছে। ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে বলেও ইসলামাবাদের দাবি।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের আগে সাধারণত প্রতিবেশী দেশকে জানানো হয়। ভারত বা পাকিস্তান এর আগে কখনও পরস্পরকে না জানিয়ে কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন করেনি, এমনটা নয়। কিন্তু ভারত না জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে পাকিস্তানও ভারতকে না জানিয়ে পাল্টা উৎক্ষেপন করেছে। ঠিক উল্টোটাও হয়েছে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। পাকিস্তান শুধু নয়, বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে পরমাণু শক্তিধর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কে-৪ ছোড়ার আগে, কোনও দেশকেই কিছু জানায়নি ভারত। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা ভারতকে নতুন মর্যাদা এনে দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যে পাঁচ দেশ, সেই দেশগুলি ছাড়া আর কারও হাতে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য দূরপাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র এত দিন ছিল না।
বঙ্গোপসাগরের গভীর থেকে হানা দিয়ে কে-৪ নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানার পর, পরমাণু শক্তির নিরিখে ভারতও নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের গোত্রে পৌঁছে গিয়েছে। পাকিস্তানের হাতে এত অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র নেই। ফলে এই রকম কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা উৎক্ষেপন পাকিস্তান করতে পারেনি। ভারতের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হতে হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।