মৃত্যুর আগে মিজানুরের ফেসবুক স্ট্যার্টাস
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান। ওই স্ট্যার্টাসে তিনি নিজেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার সংবাদ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা নাকি হত্যাকারীর পরিকল্পিতভাবে সাজানো তা নিয়ে পুলিশের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর সাহেব বাজারের হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ মিজানুর রহমান (২৩) ও সুমাইয়া ইয়াসমিনের (২০) মৃতদেহ উদ্ধার করে।
মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার প্রায় ১০ ঘন্টা আগে মিজানুর রহমান তার ফেসবুকে স্ট্যার্টাস দিয়েছিলেন।
স্ট্যার্টাসে মিজান লিখেন, ‘আমার থাকার ম্যাচে কিছু খাবার টাকা পাইতে পারে, উনু খাঁ শিশিরদের দোকানে ২৫ টাকা পাবে, কালিকাপুরের আরিফ বন্ধু ১০০ টাকা পাবে সিম না বলে নিছিলাম তার জন্য। টাকাগুলো যেন বাসা থেকে প্রদান করে। এছাড়া আমার পাওনা নেই। সবাই আমাকে মাফ করবেন। আমি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি।’
মিজানুরের স্ট্যার্টাসের বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, মিজানুর মৃত্যুর আগে ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তা নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। ঘটনা অনেক কিছুই হতে পারে। এমনও হতে পারে বিষয়টিকে কেউ অন্য পথে প্রবাহিত করার জন্যও করতে পারে। তার ফেসবুক ব্যবহার করে অন্য যে কেউ এ কাজ করতে পারে।
মিজানুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার দবিরগঞ্জের পাঠানপাড়া এলাকার অসেদ আলীর ছেলে। সে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাসের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। সুমাইয়ার পরিবার বগুড়ার উপশহর এলাকায় থাকে। তারা পিতা আব্দুল করিম গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক। সুমাইয়া পাবনার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী।
পুলিশ দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।