- হোম
- >
- শিল্প-সাহিত্য
- >
- লেনিনের প্রতি প্রশস্তিগাঁথা
লেনিনের প্রতি প্রশস্তিগাঁথা
১।
লেনিন, আপনাকে নিবেদিত সংগীতে
শব্দদের বিদায় জানিয়ে
আমাকে লিখতে হচ্ছে বৃক্ষ দিয়ে, চাকা দিয়ে,
লাঙ্গল অথবা শস্যদানা দিয়ে।
আপনিই বাস্তব
সত্য এবং পৃথিবীর ন্যায়
আর কেউ ছিলোনা এমন
এতটা পার্থিব মানুষ
ভি উইলিনিয়ভের মতোন।
আছে আরো যারা জমকালো মানুষ
যারা গির্জানুরাগী এবং অভ্যস্ত
মেঘের সাথে কথোপকথনে
তারা দীর্ঘ, একাকী মানুষ।
লেনিন চুক্তি করেন পৃথিবীর সাথে।
তিনি এসেছিলেন অন্যদের চেয়ে আরো বহুদূর হতে,
মানুষ,
নদী, পাহাড়,
প্রান্তরগুলো,
যেন ছিল খোলা বই,
এবং তিনি পড়লেন,
পড়লেন সকলের চেয়ে বহু গভীরে,
অন্যান্যদের চাইতে স্পষ্টভাবে।
তিনি তাকালেন গভীরতা নিয়ে
মানুষের দিকে,
দীর্ঘ কুয়োর মত মানুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে,
এমনভাবে অনুসন্ধান করলেন যেন
তারা ছিলো অনাবিষ্কৃত খনিজ,
যা তিনি আবিষ্কার করলেন।
প্রয়োজন ছিলো পানি উত্তোলনের সে কূয়ো থেকে,
প্রয়োজন ছিলো দীপ্তি বাড়ানোর প্রাণের আলোর,
মানুষের লুকানো সম্পদের।
তাই অঙ্কুরোদগম ও সৃষ্টি ঘটলো সবকিছুর
সময় ও পৃথিবীর যোগ্য হয়ে উঠতে।
২।
তাকে একজন রসকষহীন প্রকৌশলীর সাথে
মেলাতে যেও না,
মিলিও না তাকে কোন উৎসাহী
আধ্যাত্মিক পুরুষের সাথে,
তার প্রজ্ঞা জ্বলেছিল
পুড়ে ছাই না হয়ে,
তার আগুনে হৃদয়কে শীতল করতে পারে নি মৃত্যুও।
৩।
আমি লেনিনকে দেখতে চাই,
লেনিন মাছ ধরছেন স্বচ্ছতায়
লাখটা লেকে, যেখানে জল
একটি ছোট্ট আয়নার মতোন, যা হারিয়েছে
বিশাল, শীতল, সুগঠিত উত্তরের ঘাসে।
সেই নিঃসঙ্গতা, জঘন্য নিঃসঙ্গতায়,
কারিগরি কারখানা যেখানে শহীদ রাত্রি ও তুষারের কাছে
এবং কেবিনে শিস কাটছে সুমেরীয় বাতাস।
আমি সেখানে লেনিনকে দেখতে চাই একাকী,
শুনছেন বৃষ্টির শব্দ, ঘুঘুর ভয়ংকর লড়াই,
আদিম বনের তীব্র হৃদস্পন্দন,
লেনিন বন ও জীবনের প্রতি একাগ্র হয়ে
শুনছেন বাতাস ও ইতিহাসের পদধ্বনি,
প্রকৃতির ঐকান্তিক সান্নিধ্যে।
৪।
কতক মানুষ পড়াশোনায় বেশ ভালো,
গভীর বই, চঞ্চল বিজ্ঞান,
এবং অন্যদের,
রয়েছে আন্দোলনের আত্মা।
লেনিনের দুটি ডানা আছে;
প্রজ্ঞা এবং আন্দোলন।
গভীর চিন্তনে তিনি
করেছেন প্রহেলিকার মর্মোদ্ধার,
উন্মোচিত করেছেন মুখোশ,
এক বিরাজমান ছিলেন সর্বত্র,
একই সাথে বিচরণ তার সমস্ত ক্ষেত্রে।
৫।
ধন্যবাদ, লেনিন
শক্তি ও শিক্ষার জন্য
ধন্যবাদ সবলতার জন্য,
ধন্যবাদ লেনিনগ্রাদ ও পাহাড়ের জন্য।
.....
ধন্যবাদ লেনিন
....আশার জন্য।
অনুবাদ : অভিনু কিবরিয়া ইসলাম
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।