পানি ও নদীর সঙ্গে বাংলাদেশের জীবন-জীবিকা, পরিবেশ, প্রতিবেশ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি সবকিছু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।  পানির অভাবে নদীকেন্দ্রিক জীবিকা সংকোচিত হচ্ছে। পাশপাশি জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প উন্নয়ন, প্রাকৃতিক বা বাস্তুসংস্থানসহ মানুষের জীবন ও জীবিকা  মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। তাই জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে পানির উৎস সমূহ দূষণ এবং দখলের হাত হতে রক্ষার করে, জনগণের  অংশগ্রহণের মাধ্যমে পানি অধিকার ও পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি ও স্বপ্নের সিঁড়ি সমাজ কল্যান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এবিষয়ে এক কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল ১০টায় বুড়ীগঙ্গা নদীর তীরে খোলামোড়া ঘাটে এই অবস্থান কর্মসূচি ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- স্বপ্নের সিঁড়ি সমাজ কল্যান সংস্থার সভাপতি উম্মে সালমা,  সহসভাপতি ইসরাত জাহান লতা, মানবাধিকার কর্মী ডা.আনোয়ার হোসেন, ফারুক হোসেন, সেতুবন্ধন কামরাঙ্গীরচরের সদস্য আতিক হোসেন, বক্তারা বলেন,  জীবন ধারনের জন্য পানি অপরিহার্য উপাদান। পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। মানুষের শরীরেও তিন চতুর্থাংশ পানি। মানুষ, অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদ সবকিছু পানির উপর নির্ভরশীল। পান করা ছাড়াও সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পানি ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীর বেশিরভাগ জলভাগ হলেও ব্যবহার উপযোগী পানি অতি সামান্য। তাই ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস নদী, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় দূষণ ও ভরাট রোধ করে সংরক্ষণ ও পানির অপচয় রোধ জরুরি। 

বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বে কৃষিখাতে সবচেয়ে বেশি পানি ব্যবহৃত হয়। পানি যে কোন খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার অন্যতম উপাদান। এছাড়া মৎস সম্পদের  আধার হিসাবে পানি মূল ভূমিকা পালন করে। এতেই বুঝা যায় খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের জনস্বাস্থ্য কথা ভেবে এবং  ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে পানির উৎসগুলি দূষণ রোধ করতে হবে। এছাড়া এগুলো যেন দখল না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে  মিল-কারখানার বর্জ্য এবং পয়ঃবর্জ্য যেন নদী, খাল, পুকুর ও জলাশয়ে গিয়ে দূষণ না করতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।