- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- শহীদ মিনারের টাকা আত্মসাৎ, প্রকল্প কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
শহীদ মিনারের টাকা আত্মসাৎ, প্রকল্প কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২১ এপ্রিল, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
বাগেরহাটের রামপালে শহীদ মিনার নির্মাণে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) স্বপন কুমার ব্রহ্মকে (৪৫) খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাকে খুলনা মহানগরের বয়রা এলাকা দিয়ে গ্রেপ্তার করে দুদক। তাকে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ফরিদপুর জেলা সদর উপজেলার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে বাগেরহাটের রামপালে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে।
দুদকের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মোহা. মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১১-১২ অর্থবছরে জেলার রামপাল উপজেলার ৬ নং হুড়কা ইউনিয়নের ঝলমলিয়া দিঘীরপাড়ে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করতে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পে হুড়কা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদারকে সভাপতি করে অন্য ইউপি সদস্যদের সদস্য রেখে একটি কমিটি গঠন করে ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই কাজের তদারকিতে ছিলেন উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা স্বপন। তিনি ওই কমিটির সদস্যদের নিয়ে যোগসাজশে শহীদ মিনার নির্মাণে বরাদ্দের চেয়ে আরো প্রায় ৯০ হাজার টাকা বেশি খরচ করে শহীদ মিনার নির্মাণ করেন।
পরে দুদক ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগকে (এলজিইডি) দিয়ে নিরপেক্ষ পরিমাপ করে তার অনিয়ম চিহ্নিত করে। ওই শহীদ মিনার নির্মাণে যে অতিরিক্ত খরচ করা হয়েছে সে অনুয়ায়ী মানের দিক দিয়ে ভালো হয়নি। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট রামপাল উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা করা হয়। কমিশনের অনুমতি নিয়ে ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।