গৃহবধূকে অচেতন করে ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২১ এপ্রিল, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
নরসিংদীতে মহিষশুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ডা. এনামুল হক শাহীনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ইনজেকশনে অচেতন করে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী নারী দুই সন্তানের জননীর গর্ভপাত ঘটানোর সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা সদর মডেল থানায় নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এনামুল হক শাহীন সদর উপজেলার মহিষশুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এ ছাড়া তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী। তবে এসব ঘটনা ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন এনামুল হক শাহীন।
থানায় লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সদর উপজেলার মাধবদী কান্দা পাড়া এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী শুক্কুর আলীর স্ত্রী এক প্রতিবন্ধী স্বজনকে চিকিৎসার জন্য পল্লী চিকিৎসক ডা. এনামুল হক শাহীনের কাছে যান।
এই সুযোগ নিয়ে ছয় মাস আগে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দুই সন্তানের জননীকে ইনজেকশন দিয়ে অচেতন করেন শাহীন। এর পর তাকে ধর্ষণ করেন তিনি।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ওই নারী ফের ওই চিকিৎসকের কাছে যান। সেই সুযোগে শাহীন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেলামেশা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন। চিকিৎসক শাহীন তাকে গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে ওই নারীর গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেন শাহীন। কিন্তু এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী আওয়ামী লীগ নেতা পল্লী চিকিৎসক শাহীনের মাধবদী ম্যানচেস্টার মোড়ের ফার্মেসিতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
নির্যাতিতার মা ফুল মেহের বলেন, 'আমার মেয়ে দেখতে সুন্দরী। তবে সে রোগাটে। চিকিৎসার জন্য ডাক্তার শাহীনের কাছে নিলে তিনি আমার মেয়েকে ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলতেন। কিন্তু সে রাজি হত না।'
তিনি বলেন, 'এরই মধ্যে একদিন জোরপূর্বক ইনজেকশন পুস করায় আমার মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ডা. শাহীন তাকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে আমার মেয়ে মৃত্যুর মুখে। আমি এর বিচার চাই।'
সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।