রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে অনুমতি নিয়ে প্রবেশের দাবি জানিয়েছে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে যে ৫ দফা দাবি জানিয়েছে তার মধ্যে ৫ নম্বরে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা এ দাবি করেন। 

তাদের দাবি, পরিচালকের অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের ভেতরে কোনো সাংবাদিক প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।

রামেক হাসপাতাল ইন্টার্নি চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. আল-আমিন এইচ সরকার বলেন, আপনারা (সাংবাদিকেরা) অনেকেই ভালো নিউজ করেন। সংবাদে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেন। কিন্তু অনেকেই আবার ‘ব্রেকিং নিউজ’ করার জন্য উদ্ভট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেন। এতে ইন্টার্নিদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বিরূপ মনোভাব তৈরী হয়। 

রামেক হাসপাতাল পরিচালকের কাছে জমা দেওয়া ইন্টার্নিদের লিখিত ‘দাবিনামায়’ রোববার বলা হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ, মারধর, লাঞ্ছিত এবং আইনলঙ্ঘন করে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করার মিডিয়ার সামনে দোষ স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

আর চিকিৎসকদের গায়ে হাত তোলার অপরাধে দোষী পুলিশ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করতে হবে। এ ছাড়া রোগীর যেসব স্বজনেরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অন্যদিকে, হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক-সেবিকাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, কোনো রোগীর স্বজন চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালালে ওই রোগীর স্বজনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তারও একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা চায় ইন্টার্নি পরিষদ।

তাদের পঞ্চম দাবি হচ্ছে, হাসপাতালে বহিরাগত দালাল, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের অবাধ বিচরণ বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে এখানে তারা সাংবাদিক প্রবেশে বিধি-নিষেধের দাবি সংযোজন করেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রামেক চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোনালী ব্যাংকের রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর শাখার কর্মকর্তা সিবিএ নেতা ও রাজশাহী মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন খানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রোগীর ক্ষুব্ধ স্বজনরা এক ইন্টার্নি চিকিৎসককে মারধর করেন। এর প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরে গত রোববার তারা পাঁচ দফা দাবি দিয়ে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত করেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পুরণ না হলে ২১ এপ্রিল থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তারা।