- হোম
- >
- শিল্প-সাহিত্য
- >
- ‘কইলজার ভিতর গাঁথি রাইখ্যম তোয়ারে’
‘কইলজার ভিতর গাঁথি রাইখ্যম তোয়ারে’
এম এন আখতার ১৯৩২ সালে চট্টগ্রামের রাউজানের মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে চলে গেলেন আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী এম এন আখতার কইলজার ভিতর গাঁথি রাইখ্যম তোয়ারে, যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম ইত্যাদি।
এম এন আখতার ১৯৬২ সালে বেতার শিল্পী হিসাবে যোগ দেন। এরপর তিনি আধুনিক, পল্লীগীতি, মুর্শীদি, মারফতি, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান রচনা ও কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি অবসর নেন। তিনি সংগীত বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থ লিখেছেন। এর মধ্যে মনুআ-১, মনুআ-২ এবং ৩০ দিনে অভিনব সঙ্গীত শিক্ষা উল্লেখযোগ্য।
লেখা ও সুর করার পাশাপাশি এম এন আখতার নিজেও গাইতেন। তিনি ১৯৬২ সালে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের উদ্বোধনী আধুনিক গানের প্রথম শিল্পী। আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী বলে পরিচিত শিল্পী শেফালী ঘোষের ওস্তাদ ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা ও সুর করা গান গেয়ে শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব ও শেফালী ঘোষ খ্যাতি পান। তাঁর অনেক গান চলচ্চিত্রেও নেওয়া হয়েছে। ৩৫ বছর আগে গ্রামোফোন রেকর্ডে শিল্পী আখতার ও সাবিনা ইয়াসমিন গেয়েছিলেন ‘কইলজার ভিতর গাঁথি রাইখ্যম তোয়ারে’ গানটি। পরে এই গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তিনি প্রায় পাঁচ হাজারেরও অধিক গান লিখেছেন। পাশাপাশি লিখেছেন অসংখ্য নাটক ও কবিতা। তার লেখা গানের মধ্য থেকে কয়েক হাজার গান নিয়ে ‘এম এন আখতারের গান’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। শুধু আঞ্চলিক গানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তিনি। একুশের গান, দেশাত্ববোধক গান, আধুনিক গান, পল্লীগীতি, ভাবের গান, বিচ্ছেদি গান, হামদ-নাত, পীর-আউলিয়ার গান এবং চট্টগ্রামের হাওলা গানেও তার পদচারণা ছিল। ষাটের দশক থেকে তিনি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক ভাষায় আটটি ও শুদ্ধ ভাষায় চারটি গীতিনাট্য রচনা করেন।
এম এন আখতারের রচিত অনেক গানের মধ্যে একটি সাড়া জাগানো গান ছিল ‘বকশি হাইট্টা পানের খিলি তারে বানাই খাবাইতাম’। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে কইলজার ভিতর গাঁথি রাইখ্যম তোয়ারে, যদি সুন্দর একখান মুখ পাইতাম, তুমি যে আমার জীবনের উপহার , ও পরানর তালত ভাই চিডি দিলাম, বাচুরে - জী জী জী, বর্গী এলো দেশে", "মধুমিতা" ইত্যাদি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় চুড়িওয়ালা, সোনার কলসী, নাতিন জামাই, কানের ফুল, লট্টন কইতর, রাঙ্গাবালির চরে, বৈশাখী মেলাসহ অনেক নাটক লিখেছেন। তাঁর সর্বশেষ রচিত হাসির নাটক ‘রসিক দাদুর স্কুলে মানুষ গড়ার কল’। তিনি ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে যান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।