- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- জনি হত্যা: এসআই জাহিদসহ ৫ জনের বিচার শুরু
জনি হত্যা: এসআই জাহিদসহ ৫ জনের বিচার শুরু

রাজধানীর পল্লবীতে জনি হত্যা মামলায় পল্লবী থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক জাহিদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
রবিবার আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারিত ছিল। এ সময় অভিযুক্তরা আদালতের কাছে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বিচার প্রার্থনা করেন। আদালত আগামি ১৬ মে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক রাশেদুল, কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ।
২০১৪ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহত জনির ছোট ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমানসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করেন। পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন এ মামলাটির তদন্ত শেষ করে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনকে অভিযুক্ত এবং পাঁচজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্তকালে পুলিশের এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টুকে নতুন করে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অব্যাহতির সুপারিশ করা পাঁচ আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার ওসি জিয়াউর রহমান, থানার এসআই আবদুল বাতেন, রাশেদ ও শোভন কুমার সাহা এবং কনস্টেবল নজরুল।
অপরদিকে অভিযুক্ত পাঁচ আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার এসআই জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, সোর্স সুমন ও রাশেদ।
গত বছরের ১৩ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু, পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন পুলিশদের ধাওয়া দিলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে।
পরে জনি ও তাঁর ভাইকে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। জনির অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আরো খারাপ হলে জনির মা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।