প্রকল্প প্রদর্শনীর ৬ লাখ টাকা জাল স্বাক্ষরে হজম!
ছাতক কৃষি অফিসের একটি সংঘবদ্ধ দুর্নীতিবাজচক্র ব্যাপক জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণের ৭৭টি প্রদর্শনী প্রকল্পের প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ক্ষতিগ্রস্থ এক কৃষকের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার দিনভর ছাতক কৃষি অফিসে তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
জানা যায়, সিলেট অঞ্চলের শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসের আওতাধীন গত রবি মৌসুমে অনাবাদি জমিতে ফসল উৎপাদনে সরকার ৭৭টি প্রকল্পের প্রদর্শনীতে বরাদ্ধ দেয়। অনাবাদি জমিতে ধান প্রদর্শনীতে ৯ হাজার ৮শ’টাকা করে ২৯টি প্রকল্পে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২শ’ টাকা, ঘাই প্রদর্শনীতে ৫ হাজার ৪ শ’টাকা করে ৭টি প্রকল্পে ৩৭ হাজার ৮ শ’টাকা, ডাল প্রদর্শনীতে ৬ হাজার ৩ শ’টাকা করে ৬টি প্রকল্পে ৩৭ হাজার ৮ শ’টাকা, মসলা প্রদর্শনীতে ১৭ হাজার ৮ শ’টাকা করে ৩টি প্রকল্পে ৫৩ হাজার ৪ শ’টাকা, গম প্রদর্শনীতে ৬ হাজার ৮ শ’টাকা করে ৭টি প্রকল্পে ৪৭ হাজার ৬ শ’টাকা, ভুট্রা প্রদর্শনীতে ১টি প্রকল্পে ৭ হাজার টাকা, কৃপার সবজি প্রদর্শনীতে ৪ হাজার ৮ শ’টাকা করে ৯টি প্রকল্পে ৪৩ হাজার ২ শ’টাকা, নন-কিপার সবজি প্রদর্শনীতে ৪ হাজার ৩ শ’টাকা করে ৮টি প্রকল্পে ৩৪ হাজার ৪ শ’টাকা, এফওয়াইএম প্রদর্শনীতে ৪ হাজার ৪ শ’টাকা করে ৩টি প্রকল্পে ১৩ হাজার ২ শ’টাকা ও কম্পোষ্ট প্রদর্শনীতে ৪ হাজার ৪ শ’টাকা করে ৪টি প্রকল্পে ১৭ হাজার ৬ শ’টাকাসহ মোট ৭৭টি প্রকল্পের প্রদর্শনীর ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ২ শ’টাকা আত্মসাত করেছে ছাতক কৃষি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা।
এতে বিভিন্ন কৃষকের নামে প্রকল্প দেখিয়ে ভূঁয়া বিলভাউচার ও জাল স্বাক্ষরে এসব টাকা হজম করা হয়েছে। শুধু তাই নয় এভাবে দীর্ঘদিন থেকে ছাতক কৃষি অফিসে বিভিন্ন কৃষকের নামে ভূঁয়া প্রকল্প দেখিয়ে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে। ৭ এপ্রিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবরে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউপির বদিরগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মতিউর রহমান সাদিক ছাতক কৃষি অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্তৃক শস্য নিবিড়করণ প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের প্রদর্শনীর টাকা আত্মসাতের বিষয়য়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে সোমবার সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃঞ্চ চন্দ্র হোড় ছাতক কৃষি অফিসে এসে তদন্ত করেন। এসময় কৃষক সাদিকের লিখিত বক্তব্য নেন এবং অফিসের বিভিন্ন দুর্নীতি অপকর্ম তদন্ত করেন।
অভিযোগকারী কৃষক ছাদিকের নামে ভুট্টা প্রদর্শনী প্রকল্পের ৭ হাজার টাকা না দিয়ে জাল স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলনের প্রমাণ তদন্ত কালে বেরিয়ে আসে। তদন্ত শুরুর আগে নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে কম্পোষ্ট প্রদর্শনী প্রকল্পে নিজাম উদ্দিন ও পাবেল নামের দু’জনকে ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।