‘ভাড়া বাসায় দূতাবাস চললে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১২ এপ্রিল, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
ছবি : পিআইডি’র সৌজন্যে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ হাইকমিশন, দূতাবাস অথবা চ্যান্সরি কমপ্লেক্সের জন্য যেখানে জমি আছে, সেখানে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করতে হবে। ভাড়া বাসায় দূতাবাস চললে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। পর্যায়ক্রমে দূতাবাসের জন্য ভবন নির্মাণ করতে হবে। যাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেখানে মিলিত হতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে যেসব ওভারলোডেড ট্রান্সমিটার আছে সেগুলো প্রতিস্থাপন করতে হবে। কারণ ২০১৮ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেবো।’
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে ৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ১ হাজার ৫৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৯৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বাকি ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে নিতে হবে।
প্রকল্পগুলোর মধ্যে নতুন ৫ টি এবং সংশোধিত প্রকল্প ৩ টি। সম্পূর্ণ জিওবির অর্থায়নে ৪ টি, জিওবি, সংস্থার নিজস্ব ও প্রকল্প সাহায্য অর্থায়নে ১ টি, জিওবি ও প্রকল্প সাহায্য অর্থায়নে ২ টি এবং জিওবি ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ১ টি প্রকল্প রয়েছে।
অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। মান সম্পন্ন বীজ সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় ৭০ হাজার ওভারলোডেড বিতরণ ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন প্রকল্প এবং এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্প ও এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুড়িং প্রকল্প ও এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প এবং এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-ভরতখালী-সাঘাটা সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।