নড়াইল লোহাগড়ায় ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনী হালচাল
ক্ষমতাসীন দলের সঠিক প্রার্থী নির্ধারণের উপরই নড়াইলের লোহাগড়ার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে জয়-পরাজয় নির্ভর করছে। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাক্ষাতকার ও তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মতামত নেওয়া শেষ হয়েছে।
সাক্ষাতকার ও কাউন্সিলরদের মতামত পক্ষে পাওয়া প্রার্থীরা এখন চূড়ান্তভাবে দলীয় প্রতীক পাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। মনোনয়নে ভুল হলে দল সমর্থিত প্রার্থীর ভরাডুবি হতে পারে এমনও আশংকা রয়েছে। এমনকি একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বা বিএনপি প্রার্থীর কাছেও আওয়ামী দলীয় প্রার্থীর পরাজয় অসম্ভব কিছু হবে না। মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মী, প্রার্থী এবং দলীয় নেতা কর্মীদের তথ্যেয় এমনটাই আভাষ পাওয়া গেছে। মনোনয়নকে ঘিরে সম্প্রতি আওয়ামী দলীয় প্রার্থীদের শো-ডাউন নজর কেড়েছে।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাক্ষাতকার ও কাউন্সিলরদের মতামত গ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু এবং লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক। গত ২ এপ্রিল শালনগর ও নোয়াগ্রাম ইউপির প্রার্থীদের সাক্ষাতকার ও কাউন্সিলর মতামত অনুষ্ঠিত হয়।
শালনগর ইউপিতে ২০জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩ জনের সমর্থন পান জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা খান তসরুল ইসলাম। তিনি ওই দিন ২৩টি বাস, ৮টি ট্রাক, তিন শতাধিক মোটর সাইকেল, ২০টি নসিমন, পিকাপে প্রায় ৬ হাজার সমর্থক নেতা-কর্মী নিয়ে জেলা শহরে শোডাউন করেন।
নোয়াগ্রাম ইউপির কাউন্সিলর মতামতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান উচ্চ শিক্ষিত যুবলীগ নেতা মুন্সী আকায়েত হোসেন লিটু ১৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৮ জনের সমর্থন পান। তিনি ১৯৮০ সালে নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৯০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে এরশাদ সরকার হটাও আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় এবং ১৯৯১ সালে নানা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কয়েকদফায় কারাবন্ধি হন। বর্তমানে তিনি জেলা ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুবসমাজকে একীভূত করে এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছেন। ইতিমধ্যে এলাকার সমাজে সামাজিকতা কর্মকাণ্ডের জন্যে প্রশংসিত হয়েছেন।
ইতনা ইউনিয়নে তৃণমূলের মতামত পেয়েছেন ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ শিহানুক রহমান। ২০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৭ জনের সমর্থন পান শেখ শিহানুক রহমান। বাকী ৩ জন সদস্য মতামত প্রদানে বিরত থাকেন। এমনকি তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বাবু বিশ্বনাথ গাংগুলি ও মোঃ আহাদসহ অন্যরা তাকে সমর্থন করে বসে যান বলে সূত্র জানায়।
লক্ষীপাশা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডঃ কাজী বশিরুল হক, কাশিপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মতিয়ার রহমান, দিঘলিয়া ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা মাসুদুজ্জামান তৃণমূলের কাউন্সিলরদের মতামতে সংখ্যাগরিষ্ট সমর্থন পেয়েছেন। সব মিলিয়ে কাউন্সিলে বিজয়ী বা সমর্থন পাওয়া প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক পেলে বিজয় সুনিশ্চিত বলে একাধিক সূত্র জানায়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।