- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- দুর্গাপুরে বোরো চাষে কৃষকদের ব্যস্ততা
দুর্গাপুরে বোরো চাষে কৃষকদের ব্যস্ততা
রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলার কয়েক দফা বোরো ধান লাগানোর পর এবার বোরো আবাদের পরিচর্যায় মাঠে নেমেছন কৃষক। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে বোরো আবাদের সবুজের সমারোহ। তাই বাদামী ফড়িং ও অন্য রোগের আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকরা পরিশ্রম করছেন বোরো ফসলের মাঠে। দুর্গাপুর কৃষি অধিদপ্তর সবসময়ই চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন আর এর জন্য কৃষি অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডক্টর বিমল কুমার প্রামানিক জানান, খাদ্য নিরাপত্তার প্রধান ফসল বোরো ধান। তাই এ ফসলের প্রতি সরকারের বিশেষ নজরদারি রয়েছে । কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া ও উদ্বুদ্ধ করা, কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও পর্যাবেক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করে বাদামী গাছ ফড়িং দমনে স্কোয়াড, রোগ-বালাই থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলায় এবার চলিত বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বোরো আবাদ বেশি হয়েছে। উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে বোরো চাষিরা পুরোদমে বোরো আবাদ পরির্চযায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে কিছু কিছু এলাকায় জমিতে সরিষা থাকার কারণে এক সপ্তাহ আগে বোরো আবাদ রোপন শেষ করেছেন অনেক কৃষক।
পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী জানান, বর্তমানে আবহাওয়া বোরো চাষের উপযোগী। তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। এখন পর্যন্ত বোরো আবাদে সার ও সেচের সংকট দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে চৈত্র মাসের শেষ দিকে যদি সেচ সংকট না থাকে তাহলে এবার ধানের ফলন বাড়বে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
কাশিপুর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান, এবার বোরো চাষের শুরুতেই আমরা পর্যাপ্ত ইউরিয়া ও ডিএমপি সার পাচ্ছি। তবে মাটির প্রান বলে খ্যাত ডিএমপি সারের দাম একটু বেশি। এ মৌসুমে বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক কোন সমস্যা দেখা না দিলে বোরোর ফলন ভাল হবে।
এদিকে, কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, আগের মত ডিপ টিউবয়েল অপারেটররা জমিতে পানি দেয় না। ফলে পানি না থাকার কারণে জমিতে বাড়তি ঘাস জন্মায়। এজন্য তাদের জমিতে থেকে আগাছা সরিয়ে ফেলতে বাড়তি খরচ হয় ও ধানের উৎপাদন কম হয়।
দুর্গাপুর কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলিত বোরো মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ৩৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।