হাতিয়ায় নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকদের উপর হামলা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন নকল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষকদের উপর হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষকদের ধাওয়া দেওয়াসহ কলেজের জিনিসপত্র ভাঙচুরও করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষার সময় শিক্ষকরাই নকল প্রতিরোধের অজুহাতে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার সময় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের ৫১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই কয়েকজন পরীক্ষার্থী (ছাত্র) শিক্ষকদের ধাওয়া করে। শিক্ষকরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অফিস কক্ষে গিয়ে ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিলে কয়েকজন বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা কলেজ আঙিনায় থাকা শিক্ষকদের মোটরসাইকেল, কয়েকটি কক্ষের টেবিল ও কাচ ভাঙচুর করে। এসময় তারা হাতিয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকরা অকারণে তাদের সঙ্গে অশালীন আচারণ করেন। তারা টয়লেটে যেতে চাইলেও অনেককে যেতে দেওয়া হয়নি। আবার যেতে দিলেও টয়লেটের দরজা খুলে রাখতে বাধ্য করেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শরফুদ্দিন জানান, দ্বীপ কলেজের পরীক্ষার্থীরা ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষায় নকল করার সুযোগ না পাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে কলেজে হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের ৫টি মোটরসাইকেল, দুটি কক্ষের টেবিল, প্রশাসনিক ভবনের জানালার কাচ, নোটিশ বোর্ড ও একটি টিউবওয়েল ভাঙচুর করেছে।
হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দেব ব্রত দাস গুপ্ত জানান, পরীক্ষা শেষে তার কলেজের পরীক্ষার্থীরা হাতিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে কলেজে দূরত্ব থাকার কারণে তিনি ওই কলেজে গিয়ে খবর নিতে পারেননি।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ মঈনুদ্দিনের জানান, ঘটনায় পরীক্ষার্থী ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। যদি কোনো শিক্ষক বা ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
হাতিয়া থানার কর্মকর্তা (ওসি) এটি এম আরিছুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।