নীলফামারীতে বিএনপি-জাপার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দলীয়ভাবে দুইজন করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই উপজেলায় ৯ ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টা পর্যন্ত চতুর্থ দফায় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নে প্রথমে বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান পদে মনোনীত হন উপজেলা বিএনপির সদস্য হোসেন সহিদ। কিন্তু মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন ঘটিয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি তাজুল ইসলাম বাবুকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে ফ্যাক্স পাঠান।
আবার একইভাবে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে বিএনপি থেকে সদ্য জাতীয় পাটিতে যোগদানকারী সাবেক চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেনকে ওই ইউনিয়নে জাপার দলীয় চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়। কিন্তু সেটিও দুপুরে পরিবর্তন করে ওই ইউনিয়নে জোনাব আলীকে জাপার চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হয়। তারা বিকাল চারটার পরে ওই দুই দলের চারজন প্রার্থী স্ব-স্ব মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। এ নিয়ে উভয় দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে পরে দুই দলের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে ওই চারজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করে।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার জিলহাস উদ্দিন জানান, যাচাই বাছাইয়ের সময় যে প্রার্থী দলীয় প্রতীক বরাদ্দের দলীয় অনুমতিপত্র দেখাতে পারবে তার মনোনয়নপত্রই বৈধতা পাবে।
কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, বিএনপি ও জাতীয় পাটির দলীয় প্রার্থীতা নিয়ে দুটি ইউনিয়নে দুইজন প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে তাদের নিজেদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনত সক্ষম হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।