খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই গণসংযোগে গিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের বেলছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সেদিন রাতেই থানায় মামলা হয়েছে, দুইজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রার্থীরা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। অপরদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে গণসংযোগ চালানো আচরণবিধি লংঘন বলে দাবী করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

প্রত্যক্ষ্য দর্শী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেরুং ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে বেতছড়ি এলাকায় যান। এসময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রহমান কবীর রতন একই এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

রতন জানান, বোয়ালখালী যাওয়ার পথে বেলছড়ি এলাকায় তিনি গণসংযোগের জন্য সময় দেন। তখন মাগরিবের আযান দিলে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। সেসময় তাঁর সাথের যারা নামায পড়তে যাননি তাদের একাকি পেয়ে বিএনপির প্রার্থীর উপস্থিতে বিএনপির লোকজন মারধর করে আহত করে। তাতে ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য মো. রাসেল (৩৩)সহ মনো মিয়া ও ওয়াজ ক্করনী আহত হয়। এর মধ্যে রাসেল গুরুতর আহত হয়। তাকে উপজেলা হাসপাতাল থেকে জেলা সদর হাসপাতলে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাঁদের কর্মী-সমর্থক নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গেলে আওয়ামী লীগের লোকেরা নানা হুমকি দিয়ে প্রচারণায় বাধা দেয়। একইভাবে এ ঘটনার সময়ও তাদের কর্মীর ওপর চড়াও হয়ে হামলা চালালে সুশিল জীবন ত্রিপুরা ও সরোয়ার নামে দুইজন আহত হয়েছেন। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই ফয়জুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেদিন দুপুর ২টার পর থেকে প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। এর আগে গণসংযোগ বা প্রাচারণা চালিয়ে থাকলে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করা হয়েছে।

এদিকে মেরুং, বোয়ালখালি (সদর) ও কবাখালি এ ৩ ইউনিয়নের ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে কবাখালি ইউনিয়ন থেকে প্রীতি তালুকদার ও রুপায়ন চাকমা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।