বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলামের ধর্ষণের শিকার হয়ে সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আমেনা খাতুন (১৩) আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাবলু আকন্দ থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ভগ্নিপতি এবং তার মা রওশন আরাকে গ্রেপ্তার করেছে।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ভগ্নিপতি নাবালিকা আমেনাকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলার ছাতনি গ্রামের আফসার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম পাশের বড়বাড়িয়া গ্রামের বাবলু আকন্দের মেয়ে সুমি আকতারকে বিয়ে করেন। 

আমেনা প্রায়ই বোন সুমির শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যেতো। গত ৯ অক্টোবর নাবালিকা আমেনাকে ভগ্নিপতি রফিকুল ফুঁসলিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে আমেনা অন্তঃসত্ত্বা হলে বিষয়টি রফিকুলকে জানায়। 

এতে রফিকুল ও তার পরিবার আমেনাকে দোষারোপ করলে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে লজ্জা ও অভিমানে আমেনা ভগ্নিপতির বাড়ির একটি ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দেয়।