বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছাড়ালো ৭ শতাংশ
বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রথমবারের মতো সাত শতাংশ ছাড়িয়েছে। এটা চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসের হিসাব।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় জানানো হয়, গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.০৫ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরে সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সাত শতাংশ। আগের বছর যা ছিল ৭.৩ শতাংশ। যদিও অর্থবছর শেষে মূল হিসাবটা জানা যাবে, তারপরও নয় মাসের হিসাবটি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার লক্ষণ বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী বলেন, আমাদের রপ্তানি আয় বাড়ছে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগ পরিস্থিতিও এখন বেশ ভালো। মুদ্রা সম্প্রসারণ নীতি আর জনকল্যাণে সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হয়েছে। এর পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, রেমিটেন্স বৃদ্ধি, পদ্মাসেতু নির্মাণও উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক চলতি বছর ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পূর্বাভাস দিয়েছে। আগের বছরের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফসহ আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলোও।
তবে এসব দাতা সংস্থার পূর্বাভাসের চেয়ে বরাবরই বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬.৫৫ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.১২ শতাংশ। তখন আরও কম হারে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল দাতা সংস্থাগুলো।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বরাবর বিশ্বের কাছে এক বিষ্ময়। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনকিম আউটলুকের তথ্য ব্যবহার করে সিএনএন মানির এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সাল নাগাদ সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে বাংলাদেশ। আর ২০১৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে থাকবে। তবে এই পূর্বাভাসের এক বছর আগেই ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে দেশ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।