কে হবে ৬ষ্ঠ আসরের চ্যাম্পিয়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ আসরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে আজ রাতে মুখোমুখি হবে ২০১০ এর চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড এবং ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-২০ বিশ্বকাপে এর আগে অনুষ্ঠিত পাঁচ আসরে শেষে কোনো দলই একবারের বেশি শিরোপা জিততে পারেনি টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে। আজ রাতে সেই ইতিহাস পাল্টে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবেই।
ক্যারিবীয় কিংবা ইংলিশরা যে দলই শিরোপা জিতুক না কেন ইডেনে আজ সৃষ্টি হবে নতুন এক ইতিহাস। টি-২০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো দল শিরোপা জিতবে। ২০১০ সালে তৃতীয় আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড।
দেশের মাটিতে না পারলেও চতুর্থ আসরে শ্রীলঙ্কার মাটিতে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ষষ্ট আসরে ভারতের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হবে কে সেই প্রশ্নের জবাবে মুখোমুখি হচ্ছে দুই সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।
বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে টি-২০ ক্রিকেট নব সংস্করণই। টেস্ট ও ওয়ানডের সঙ্গে তুলনায় ক্ষুদ্র ফরম্যাটের এই ক্রিকেট একেবারেই নবজাতকতুল্য। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই দলই এই নবজাতকের আচরণ বেশ ভালোই বুঝতে পারে। তা না হলে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিরোপা জিততে না পারা ইংলিশরা টি-২০ তে নিজেদের বেশ শক্তিশালী দল হিসেবেই প্রমাণ করে আসছে শুরু থেকেই। এই ধারাবাহিকতায় টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা দ্বিতীয়বারের মতো ঘরে নেওয়ার অপেক্ষায় ইংল্যান্ড।
অন্যদিকে ওয়ানডে ক্রিকেটে শুরুর দিকে পরাক্রমশালী বাদশার মতো দাপট খাটিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বিগত দিনগুলোতে ওয়ানডে ফরম্যাটে ক্যারিবীয়রা যেন রাজ্যহারা হয়ে পড়েছে। কিন্তু টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে ক্যারিবীয়রা বেশ শক্তিশালী। এই জন্য তো টি-২০ ক্রিকেটে যে কোনো আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মানেই সুপার ফেভারিট। উপমহাদেশের মাটিতে চলমান বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেই সেটা আরেকবার প্রমাণ করল ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
এবারে ষষ্ট আসরের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নিঃসন্দেহে। দুই দলেরই ব্যাটিং শক্তি সমৃদ্ধ। দুই দলেরই রয়েছে অসংখ্য পাওয়ার হিটার ব্যাটসম্যান। এবারের আসরে ইংল্যান্ডই একমাত্র দল যাদের রান গড় ৯-এর উপরে (৯.১২)। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান গড় ৭.৭৮। ফাইনালের আগ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা মোট ৩৬টি ছক্কা মেরেছেন। অপরদিকে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ছক্কা মেরেছেন ৩৪টি। এবারের আসরে এই দুই দলই ৩০ বা এর বেশি ছয় মারার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। বাউন্ডারি বা চারের ক্ষেত্রে অবশ্য ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ৭৮টি বাউন্ডারি মেরে এগিয়ে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা ৬১টি বাউন্ডারি মেরেছে। আজ ইডেনের এই ফাইনাল ম্যাচটি কতটা পাওয়ার হিটিং ম্যাচ তা এই পরিসংখ্যান দেখলেই স্পষ্ট। অবশ্য শিরোপা যুদ্ধে ব্যাট-বলের লড়াই শুরুর আগে টস ভাগ্যের দিকে বেশি করে তাকিয়ে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচেও নিঃসন্দেহে পরে ব্যাট করতে চাইবে ড্যারেন স্যামির দল। কেননা এবারের আসরে একবারও আগে ব্যাটিং করেনি তারা। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই পরে ব্যাট করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে চারটি জিতেছে হেরেছে মাত্র একটি। আর ইডেনে এবারের আসরের যে চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রাতে অনুষ্ঠিত দুটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে পরে ব্যাট করা দল। তবে আগে-পরের ব্যাট নিয়ে ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তা নাও থাকতে পারে। কেননা আসরে মোট পাঁচ ম্যাচ খেলে দুইবার আগে এবং দুবার পরে ব্যাটিং করেই জয় পেয়েছে ইংলিশরা।
আজকের ম্যাচে পিচের ভূমিকাটা কিন্তু খুব এক্তা উপেক্ষা করা যায় না। ফাইনালে ইডেনের উইকেটটি স্পোর্টিং উইকেটই হতে যাচ্ছে। পিচে ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য দেখা যাবে বেশিই ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও সুবিধা পেতে পারেন পেস বোলাররাও। তবে স্পিনারদের জন্য সুবিধাটা খুব ভালো না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।