- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- খুলনায় নতুন দুটি উফশী ধানের বাম্পার ফলন
খুলনায় নতুন দুটি উফশী ধানের বাম্পার ফলন
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় উচ্চফলনশীল (উফশী) নতুন দুটি জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এর আগে ২০১০ সালে একই জমিতে চাষ করা ব্রি ধান-৫০ বা বাংলামতি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন উঠেছিল।
তবে কৃষি বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ব্রি ধান-৬৩ বা সরু বালাম ও ব্রি ধান-৫৮ নামের জাত দুটি চাষ করে কৃষক আরো লাভবান হবেন। এরই মধ্যে ধান পেকে উঠেছে এবং আগামী সপ্তাহে তা কাটা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও কৃষকরা জানান, উপজেলার মেছাঘোনা গ্রামের পাশে কার্তিকডাঙ্গা বিলে চাষ করা এ দুটি জাতের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন তাঁরা। সম্প্রতি ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাত দুটি মাঠপর্যায়ে চাষের অনুমোদন দেয়।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রি ধান-৬৩-এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এ জাতের ধান থেকে বোরো মৌসুমে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির (উচ্চ মানের) চাল পাওয়া যাবে, যা বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। এ জাতটির চাল সরু এবং গুণাগুণ বালাম চালের মতো বলে জাতটি সরু বালাম নামে পরিচিত। জাতটি অধিক ফলনশীল, চালের আকৃতি পাকিস্তানি বাসমতির মতো লম্বা ও চিকন। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৫ শতাংশ, প্রোটিনের পরিমাণ ৮ দশমিক ২ শতাংশ, এক হাজার পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২২ দশমিক ১ গ্রাম। এ ধানের পাতা খাড়া ও লম্বা, তাই এ ধান দেখতে খুব আকর্ষণীয় হয় এবং ধান পাকলেও দূর থেকে দেখলে মনে হয় ধানক্ষেত সবুজ। এ ছাড়া ব্রি ধান-৫৮ উচ্চফলনশীল, চাল মাঝারি লম্বা, ভাত ঝরঝরে। এ জাত দুটির হেক্টরপ্রতি ফলন সাত থেকে সাড়ে সাত টন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান তমাল লতা আদিত্য জানান, বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য জাত দুটি খুবই ভালো এবং এর মধ্যে ব্রি ধান-৬৩ বিদেশে রপ্তানিযোগ্য। এ ধানটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শীর্ষ থেকে ধান ঝরে পড়ে না। চালের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো রান্না করলে ভাত লম্বায় বাড়ে। এ ধান ব্রি ধান-২৮-এর মতো একই পরিচর্যায় করা যাবে। এই ধান চাষ করে অধিক লাভবান হবেন কৃষক।
এ জাতের ধানের গড় জীবনকাল ১৪৮-১৫০ দিন এবং উপযুক্ত পরিচর্যায় হেক্টরপ্রতি সাড়ে ছয় থেকে সাত টন ফলন দিতে সক্ষম।
এই নতুন ধানের জাত দুটি চাষের উদ্যোক্তা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান। তিনি ব্রি থেকে নতুন ধানের এ জাত দুটির প্রতিটির পাঁচ কেজি করে বীজ সংগ্রহ করে নিজেদের ৬০ শতাংশ জমিতে লাগানোর ব্যবস্থা করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরু বালাম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে এবং আগামী পাঁচ-ছয় বছরের মধ্যে মিনিকেট ও ব্রি ধান-২৮ জাতের চালের বাজার দখল করবে। আর ব্রি ধান-৫৮ মাঝারি চিকন এবং এর ফলন ভালো। ভাত ঝরঝরে হওয়ায় তা বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে জনপ্রিয়তা পাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।