গাইবান্ধায় ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার ইটভাটাগুলোতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবাধে কাঠ পোড়ানো মহোৎসব চলছে। এতে করে বিভিন্ন প্রজাতির বনজ সম্পদ উজাড় হয়ে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯২ - অনুযায়ী ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১০ বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান থাকলেও তা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। শর্ত অনুযায়ী দেড় একর জমিতে ইটভাটা স্থাপনের কথা থাকলেও পলাশবাড়ির ভাটার মালিকরা ৩ থেকে ৫ একর জমি ব্যবহার করছেন। আর ভাটাগুলোতে অবাধে চলচ্ছে কাঠ পোড়ানো।
উপজেলার ৯ ইউনিয়নসহ আশপাশ এলাকায় কৃষি জমির উপর অসংখ্য ইটভাটা গড়ে উঠেছে। কৃষি জমির উপরে ইটভাটা তৈরির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিন দিন কিভাবে এ সব ইটভাটা গড়ে ওঠছে তা প্রশ্নাতীত। ভাটাগুলোতে ২৪ ঘন্টাই গাছের কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবেশের ছাড়পত্রসহ রাজস্ব ও বিভিন্ন নিয়ম-কানুন অহরহ উপেক্ষিত হচ্ছে এসব ভাটায়।
যেন দেখার কেউ নেই! ইটভাটাগুলোতে প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানোর কারণে পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভাটার কালো ধোঁয়ায় ফলফলান্তির গাছগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অধিকাংশ ভাটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসবাসের বাড়ি সংলগ্নে তৈরি হয়েছে। সরেজমিন তদন্ত করে জানা যায়, ইটভাটা তৈরির ছাড়পত্র মোতাবেক কোনো ভাটাই তৈরি হয়নি। এমনকি দু’একটি বাদে অধিকাংশ ভাটার কোনো লাইসেন্স নেই।
অন্যদিকে, উপজেলার ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্স ও ভূমি উন্নয়ন কর ফাঁকিরও অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইটভাটার মালিক জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ সংক্রান্ত ১৯৯২ সালে প্রণীত আইনের ২৮ মে(২) ৯৯২ স্মারকের বুনিয়াদে প্রকাশিত গেজেট কর্তৃক এ আইনের সর্বময় ক্ষমতা জেলা প্রশাসকদের উপর অর্পণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে পলাশবাড়ি উপজেলার ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।