বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিস্ময়কর আবিষ্কার মুস্তাফিজ। জাতীয় দলে প্রবেশ করেই চোঁখ ধাঁধানো খেলা উপহারের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। খুব অল্প বয়স আর কম সময়েই ক্রিকেট ইতিহাসে নিজের নাম লিখেছেন মুস্তাফিজ। খুব বেশি লেখাপড়া না জানলেও এই মুস্তাফিজ আজ ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে। যাকে নিয়ে ভাবছেন গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। অল্পদিনেই ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই ক্রিকেট তারকা আজও রয়েছেন সেই আগের মতই। ক্রিকেট জয়ের পাশাপাশি জয় করতে ভুলে যাননি ভক্ত ও বন্ধুদের মন জয়ে।

ক্রিকেট বোর্ডের ছুটিতে এসেছেন সাতক্ষীরা শহরের অদূরে কালিগজ্ঞ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে। ছুটি কাঁটাতে এসে ঘুরছেন নিজ এলাকার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, পরিচিত জনদের বাড়িতে। মুস্তাফিজের জন্য এলাকার প্রিয়জনরা ছোট খাটো সংবর্ধনা  আয়োজন করেছে। এতে মুস্তাফিজও খুশি এলাকার প্রিয় মানুষদের ভালোবাসা পেয়ে। সাদা-মাটা মুস্তাফিজকে নিয়ে এলাকার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ যেন আনন্দে আত্মহারা। 

আপনজনদের সাথে ব্যস্ততার মধ্যে সুযোগ পেলেই বাচ্ছাদের সঙ্গে নিয়ে ব্যাট, বল হাতে গ্রামের মাঠে খেলা মজে যাচ্ছে যকন তখন। ধুমকেত মত ক্রিকেট জগতে প্রবেশের পর প্রতিপক্ষকে খেলার মাঠে নাস্তানাবুদ করা তারকা ক্রিকেটার মুস্তাফিজকে দেখলে মনেই হয় না এই সেই মুস্তাফিজ। যাকে নিয়ে ভাবছেন গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।

অবসর কাটাতে গ্রামে আসলেও ব্যস্ততা বেড়েছে আড্ডায়। বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছেন প্রিয় মটরসাইকেলে চড়ে। কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যে আশাশুনির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল পরিদর্শনসহ ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহায়তা করেছেন। 

ক্রিকেট বিষ্ময় বালক মুস্তাফিজ বলেন, বিসিবি অনুমতি দিলে আইপিএল খেলতে যাবেন। তারপর বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে যাবেন সাসেক্সে। আইপিএল ও সাসেক্সে দেশের সুনাম আরও বৃদ্ধি করতে চান এই ক্রিকেটার। 

মুস্তাফিজের নিকটাত্মীয় তারালি আলিম মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর মুস্তাফিজকে কাছে পেয়ে আমরাসহ এলাকার সবাই খুব খুশি। বিশেষ করে মুস্তাফিজের বন্ধু ও ছোট বাচ্ছারা। ছুটি শেষে আগামী তিন এপ্রিল ঢাকার ফিরে যাবে মুস্তাফিজ।