নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট নির্বাচনের ফলাফল
নোয়াখালীর উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাটের ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪টি ইউনিয়নের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে ৫টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হওয়ায় ফলাফলও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। দুই উপজেলার প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ ১১টি, বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ (স্বতন্ত্র) ৩টি ইউনিয়নের বিজয়ী হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনির হোসেন ফলাফলের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, জেলার কোম্পনীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন ১৩’হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ পেয়েছেন ২৩শ ৩০ ভোট।
চরহাজারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নূরুল হুদা ৬ হাজার ৬০৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র)প্রার্থী নুরুজ্জামান পেয়েছেন ১৭শ ৩২ ভোট।
চরকাঁকড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোঃ সফি উল্ল্যা ৯হাজার ১০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জামায়াত (স্বতন্ত্র) প্রার্থী গোলাম ফয়সাল পেয়েছেন ১২শ ৩২ ভোট।
চরফকিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী জামাল উদ্দিন ৫ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সেলিম উল্ল্যা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৭০ ভোট।
রামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী ৪ হাজার ৩৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী আহসান উল্ল্যা পেয়েছেন ২৬শ ২৪ ভোট।
মুছাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম ৮হাজার ১২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী নুরুল আলম সিকদার পেয়েছেন ২৩শ ৩২ ভোট।
চরহাজারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ১০হাজার ২০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মতিন তোতা পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট।
এদিকে কেন্দ্র দখল, কেন্দ্রে হামলা, ব্যালট পেপার ও সিল ছিনাতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলার ১নং সিরাজপুর ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টির ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন স্ব-স্ব প্রিজাইডিং অফিসাররা।
কবিরহাট নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ কে এম সিরাজ উল্ল্যাহ ৭ হাজার ৮৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী এনামুল হক মাসুদ পেয়েছেন ২৩শ ৬৬ ভোট।
সুন্দলপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল আমিন রুমি ১০ হাজার ৬২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রহিম পেয়েছেন ২৮শ ৯ ভোট।
ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র) আব্দুল মন্নাফ ৫ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী নুরুল আলম ভুঁইয়া পেয়েছেন ৫ হাজার ৪১১ ভোট।
ঘোষবাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র)মহসিন ভূঁইয়া ৪হাজার ৩২৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ২৫শ ৯৩ ভোট।
চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহি উদ্দিন টিটু ৯হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনিত প্রার্থী গোলাম ছারওয়ার পেয়েছেন ১১শ ৯৭ ভোট।
ধানশালিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ইয়াকুব নবী ৪হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জিয়া উল হক জিয়া পেয়েছেন ২২শ ৬৪ ভোট।
বাটাইয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী(স্বতন্ত্র)প্রার্থী মিজানুর রহমান ৫হাজার ৯৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনিত প্রার্থী গোলাম হায়াত সাকের পেয়েছেন ৩হাজার ৪৮৫ ভোট।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।