কাতারে নিপীড়নের শিকার বাংলাদেশী শ্রমিকরা
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণে নিয়োজিত শ্রমিকরা জোর করে আটকে রাখাসহ নানা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
নিপীড়নের শিকার শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী শ্রমিকরাও। ভারত ও নেপালের শ্রমিকরা রয়েছে শোষিতদের মধ্যে।
২০২২ সালে কাতারের যে স্টেডিয়ামে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা হওয়ার কথা রয়েছে, সেই খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম নির্মাণে এসব শ্রমিকরা কাজ করেন।
অ্যামনেস্টি বলছে, যেসব শ্রমিকরা কাজ করছে, তাদের খুবই সংকীর্ণ জায়গায় থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে, পাসপোর্ট ও মজুরী আটকে রাখা হচ্ছে। কিন্তু এই কাজ পেতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অনেক টাকা দিতে হয়েছে শ্রমিকদের।
এই শ্রমিকদের পাসপোর্ট আটকে রেখে দেশ ত্যাগ করতে দেওয়া হয় না। এমনকি অভিযোগ তুললে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়।
টুর্নামেন্ট আয়োজনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বন্ধ করতে ফিফার বিরুদ্ধেও ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
কাতার বলছে, তারা এসব অভিযোগে উদ্বিগ্ন এবং এগুলো খতিয়ে দেখবে।
কাতারের সরকার বলছে, অভিবাসী শ্রমিকদের কল্যাণের বিষয়টি তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা যে নতুন শ্রম আইন করছে, তা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজে আসবে বলে তারা আশা করছে।
বিশ্বকাপের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের জীবন মান ফিফার নিজের তদারকি করা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগেও কাতারের শ্রম নিপীড়ন নিয়ে অভিযোগ তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাজের শ্রম ব্যবস্থা নিয়ে তারা অভিযোগ তুলল।
কাতারের মোট জনগোষ্ঠীর ৯০ শতাংশই বিদেশী, যারা দেশটির বিভিন্ন খাতে কাজ করেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।