কারাবন্দি দুই জামায়াত নেতা নির্বাচনে প্রার্থী
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কারাগার থেকেই চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন জামায়াতের দুই নেতা। আগামী ৩১ মার্চ তৃণমূলের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে তাদের পক্ষে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পরিবারের সদস্য ও দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট চেয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
জামায়াতের ২ প্রার্থী হলেন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের কাশদহ গ্রামের মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান ও দহবন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা প্রামাণিক রাজু।
মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান জেলা জামায়াতের সহ-সভাপতি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যাসহ একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। এই সকল মামলায় তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়া গোলাম মোস্তফা প্রামাণিক রাজু উপজেলা জামায়াতের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জামায়াত নেতা মোঃ নুরুন্নবী প্রামাণিক সাজুর ছোট ভাই। রাজু ঝিনিয়া এমএ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় নাশকতা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ১০ মার্চ নির্বাচনী প্রচারণার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠায়।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ আবদুল মালেক জানান, মিজানুর রহমান জেলা কারাগারে থাকায় তার পক্ষে স্ত্রী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এছাড়া গোলাম মোস্তফা প্রামাণিক মনোনয়নপত্র দাখিল করে প্রচারণার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। দুইজন প্রার্থীই স্বতন্ত্র হিসাবে চেয়ারম্যান পদে জন্য লড়ছেন। তারা দুজনই চশমা প্রতীক পেয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইসরাইল হোসেন জানান, এই দুই নেতার বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায়, হত্যা, নাশকতা ও সন্ত্রাস আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তারা গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে, কারাগারে থেকে দুই জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তাদের স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, পরিবারের সদস্য, দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মী-সমর্থকরা ভোট প্রার্থনা করছেন। শেষ মুহূর্তে এসে তারা এখন দিনরাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
অপরদিকে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের মধ্যে ১৩ ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে। ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন ও সংরক্ষিত নারী এবং সাধারণ সদস্য পদে ৫৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা, নাশকতা, সন্ত্রাস, ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও নারী ও শিশু নির্যাতনহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় মামলা রয়েছে। তারা জামিনে এসে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।