বাল্যবিয়ের চেষ্টায় কনের বাবাসহ আটক ১০
নীলফামারী সদর উপজেলার সোয়াদেব বড়গাছা গাইবান্ধাপাড়া গ্রামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানজিনা খাতুনকে জোড়পূর্বক বাল্য বিয়ের চেষ্টার অভিযোগে কনের বাবাসহ ১০ জনকে আটক হয়েছে।
শনিবার দুপুরে আটককৃত বিভিন্ন মেয়াদে বিনাসশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নীলফামারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাবেত আলী।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- কনের বাবা তোরাব আলীকে ২৫ দিন, কনের স্বজন ময়নুল ইসলাম(২৮), আবু সায়িদ(৪৩), মনোয়ার হোসেন(২৫) সহ তিনজনকে ২০দিন করে ও বরের স্বজন দবির উদ্দিন(৩৫), ওমর ফারুক(৩৫), আব্দুর রহিম(২৫),আবু বক্কর সিদ্দিক(৪৫), আব্দুল আলিম(২৮) ও সিরাজুল ইসলামসহ(৩০) ৬ জনকে ১৫ দিন করে বিনাসশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
নীলফামারী সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, সাজা প্রদানের পর তাদের জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগ মতে, ওই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে জেলার ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের মৃত মহিউদ্দিন ওরফে মালগাড়ীর ছেলে সাইফুল ইসলামের(২৫)জোড়পূর্বক বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এ জন্য শুক্রবার রাত ১টায় ডিমলা থেকে বরযাত্রী আসে কনের বাড়িতে। গোপনে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাবেত আলী, সদর থানার ওসি শাহজাহান পাশা। সেখানে তারা বাল্যবিয়েটি প্রতিহত করে উক্ত ব্যক্তিদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার দুপুরে তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।