১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ভেন্যু নির্ধারণের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে তা আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা খুব কম সময়ই ক্ষমতায় থেকেছেন। এই স্বল্প সময় তিনি দেশ থেকে মদ-জুয়াসহ সকল গর্হিত ও ইসলামবিরোধী বিষয়গুলো নিষিদ্ধ করে গেছেন। তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারে কাজ করে গেছেন। তার কল্যাণেই বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা একজন সত্যিকারের মুসলমান ছিলেন। ইসলামের কল্যাণে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষ যেন এ দেশে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে পারে, সে ব্যবস্থা করেন। তিনি এ দেশের দরিদ্র, ভুখা-নাঙ্গা মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশে ১৯টি ক্যু হয়েছে। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় জাতির পিতার আদর্শে ইসলামকে সমুন্নত করতে সচেষ্ট হয়। আমরা মুসলমানদের জন্য শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রচলন ঘটিয়েছি। তিনি আরো বলেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ আমাদের জাতীয় মসজিদ।
তিনি বলেন, বিশ্বমঞ্চে অনেকেই বলে থাকেন, ইসলাম ধর্ম সন্ত্রাসীদের ধর্ম। আমি উচ্চস্বরে বলেছি, জঙ্গির কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্ম কখনোই জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না। এখন ডিজিটাল যুগ। আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে অনুরোধ করেছিলাম। সে অনুযায়ী কোরআন শরিফকে ডিজিটাল করে দেওয়া হয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।