ঝালকাঠিতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা, নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ১ম দফায় ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচন এবং ২য় দফায় ঘোষিত ১০ পৌরসভা নির্বাচন তফসিলের পর ৫ মার্চ শুক্রবার পৌর ও ৭ মার্চ রবিবার ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরই শুরু নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা। এদের মধ্যে কেউ কেউ সরকারীদলের প্রভাবে এবং অর্থ ও বাহুবলের শক্তিতে।
শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার প্রতীক বরাদ্দ দেন। তখন জেলা রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. মিজানুর রহমান নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সুস্পষ্টভাবে প্রার্থীদেরকে জানিয়ে দেন।
তিনি জানান, দুপুর ২ টার পর থেকে রাত ৮ টার পূর্ব পর্যন্ত মাইকে প্রচার করতে পারবে। তবে সে ক্ষেত্রে মাইকিংয়ের জন্য একটি মাইক এবং পথসভার জন্য একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবে। কোনভাবেই একই স্থানে একই প্রার্থী দুটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন না।
এছাড়াও নির্বাচনী কাজে সরকারি বাসভবন ব্যবহার, মটর সাইকেল শো-ডাউন, মিছিল, শোভাযাত্রা, দেয়ালে বা গাছে পোস্টার সাঁটানো, উপাসনালয়ের ছবি সম্বলিত পোস্টার ব্যবহার করতে পারবে না।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠান দুপুর সাড়ে ১২ টায় শেষ হয়। ২ টা থেকেই প্রচারণা শুরু করা হয়। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে দুটি মাইক ব্যবহার, মোটরসাইকেল শো-ডাউন, মিছিল, দেয়ালে এবং গাছে পোস্টারিং করে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের প্রতিযোগিতা করছেন মেয়র, কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রার্থীরা। এ চিত্র ঝালকাঠি পৌরসভা, সদর উপজেলা, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়ায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে।
এই ব্যাপারে পৌর রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. মিজানুর রহমান জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ আসছে। তাৎক্ষনিক ভাবে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে প্রমাণিত হলে আটক ও সর্বোচ্চ ৬মাসে কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং প্রার্থী নিজে সরাসরি অপরাধ করলে তার প্রার্থিতা বাতিল করার বিধান রয়েছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।