‘কত জনাক মুই ফটোকপি দিনু বাহে একান কাটের আশায়’
কত জনাক মুই ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিনু। আবার কত জনাক অনুরোধ করনু। ট্যাকা দিতে পাও নাই তাই মোর বয়স্ক ভাতা আজও হইলনা বাহে। তাইলে কি মোর বয়স্ক ভাতা হবি মরি যাবার পর শ্মশানে?’ এভাবেই আক্ষেপ করে বললেন বয়স্ক ভাতা না পাওয়া গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজলোর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের ভিক্ষুক শ্রী গোপাল চন্দ্র। ভিক্ষুক গোপালের ভাগ্যে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড আজও জোটেনি।
গোপাল চন্দ্র সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক সময় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি করে তিনি জীবন ধারণ করতেন। কিন্তু ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় তার সংগৃহীত প্রতিমা তৈরির সব উপকরণ হারিয়ে যায়। অর্থের অভাবে সেইসব জিনিসপত্র আর কেনা সম্ভব হয়নি। পরে অবশ্যই শোলা ও কাগজের ফুল, পাখিসহ খেলনা বিভিন্ন প্রকার সামগ্রী তৈরি করে মেলায় মেলায় এবং পথে-ঘাটে বিক্রি করে কোনোমতে জীবন চালাতেন গোপাল চন্দ্র। কিন্তু বর্তমানে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া গোপাল শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
কথা বলতে বলতে গোপাল চন্দ্র আক্ষেপ করে বলেন, ‘মুই এ্যানা আরাম পানু হয় বাহে’। অর্থ্যাৎ যদি আমার একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড হতো তাহলে এ বৃদ্ধ বয়সে আরাম পেতাম। তিনি বলেন, ‘যে কোনো মাধ্যমইে হোক না কেনে মোক একটা বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দিলে মুই ভগবানের কাছে তার জন্য প্রাণভরে প্রার্থনা করনু হয়।’ গোপাল চন্দ্র জনপ্রতিনিধিসহ অনেক দুয়ারে একটি কার্ডের জন্য আশা করেও তা পুরণ হয়নি। আদৌ পূরণ হবে কি গোপালের আশা?
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।