অভিযোগের তীর এখন আরসিবিসির ব্যবস্থাপকের দিকে
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ১৬ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনকে (আরসিবিসি) অর্থ ছাড় বন্ধ করতে বার্তা পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তারপরও আরসিবিসি অর্থ ছাড় অব্যাহত রাখে। আরসিবিসির প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) ফিলিপাইনের সংবাদপত্র ইনকোয়্যারের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।
এসময় প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসিকে একটি বার্তা পাঠায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া অর্থ আরসিবিসির মাধ্যমে ছাড় বন্ধ করতে বলা হয়। পাশাপাশি যেসব হিসাবে অর্থ ছাড় দেওয়া হচ্ছিল যেসব হিসাব বন্ধ করতেও অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আরসিবিসির জুপিটার শাখার চারটি হিসাবে ওই দিন মোট ৫ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার ডলার ছাড়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
তবে ওইদিন দুপুরের আগে ছাড়কৃত অর্থ প্রত্যাহারের জন্য আরসিবিসির সেটেলমেন্ট বিভাগ থেকে চারটি ইমেইল ব্যাংকটির জুপিটার শাখাকে পাঠানো হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ৮০৮ কোটি টাকা চুরি হয়েছে। এরমধ্যে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের মাকাতি নগরের জুপিটারের আরসিবিসির শাখার মাধ্যমে ছাড় দেওয়া হয়।
আরসিবিসির ওই শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোর হাত দিয়েই ব্যাংকটির গ্রাহকদের ছাড় দেওয়া হয়।
ব্যাংকটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৮ কোটি ১০ ডলারের মধ্যে আরসিবিসির জুপিটার শাখা থেকে ৩ কোটি ডলার জেসি ক্রিস্টোফার লাগরোসাসের হিসাবে, এক কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ডলার আলফ্রেড ভারগারার হিসাবে, দুই কোটি ৫০ লাখ ডলার এনরিকো ভাসকুয়েজের হিসাবে, ৬০ লাখ ডলার মাইকেল নামে এক গ্রাহকের হিসাবে প্রবেশ করে। ওই শাখার ব্যবস্থাপক দেগুইতো উইলিয়াম এস গো নামে এক ব্যবসায়ীর হিসাব খুলে দেওয়ার জন্য সহায়তা করে।
উইলিয়াম এস গো নামের ওই ব্যবসায়ী জানায়, দেগুইতো নিজে নিজেই ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব খুলে দিয়েছেন। আর পরিকল্পনায় রাজি থাকলে এতে তাকে এক কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেগুইতো।
অনুমোদিত পরিমাণের বেশি অর্থ চার হিসাবে জমা হয়। ফলে ৫ ফেব্রুয়ারিই লাগরোসাস নামের গ্রাহকের হিসাব দুই কোটি ২৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার উঠানো হয়। এরপর ব্যবসায়ী উইলিয়াম গোর আর্থিক (রেমিটেন্স লেনদেন) প্রতিষ্ঠানের হিসাবে এক কোটি ৪৭ লাখ ডলার হস্তান্তর করা হয়। তবে এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কোনো স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।