নড়াইলে নদীর জন্য করণীয় দিবস পালিত
নড়াইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক নদীর জন্য করণীয় দিবস পালন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সোমবার বিকালে নির্মাণাধিন চিত্রা সেতু পয়েন্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা)ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এবং স্থানীয় পরিবেশ রক্ষার জন্য উদ্যোগি মানুষের সহযোগিতায় চিত্রা নদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে চিত্রা নদীর পাড়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সকল নদীর উৎসস্থল পদ্মা ও গড়াইতে মাথাভাঙ্গা, কুমার ও কালী নদীর মোহনায় ষাটের দশকে জিকে প্রজেক্ট করতে যে সকল বাঁধ দিয়েছিল সেগুলি কেটে ড্রেজিং করতে হবে। এতে বর্ষা মৌসুমে হিমালয়ের পলিযুক্ত পানির স্রোত ভাটির টানে খুলনার সকল নদী দিয়ে প্রবাহিত হলে নদীর নব্যতা অবশ্যই বহমান থাকবে। কর্মসূচিতে বক্তরা আন্তর্জাতিক নদী দিবসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের কিছু দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলির হচ্ছে- প্রশাসনিক শক্তি প্রয়োগ করে সকল শিল্পকারখানায় বর্জ্য পরিশোধন প্লান্ট সংযোজন করা, শহুরে গৃহস্থলী ও হাসপাতাল বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ ও তরল বর্জ্য পরিশোধন করা। নদীর উপর কাঁচা পায়খানা নির্মাণ বন্ধ, নৌ-যান নির্গত ময়লা, বর্জ্য, তেল পানিতে ফেলা নিষিদ্ধ ও নৌ-যানে তেলের পরিবর্তে গ্যাস ব্যবহার। আদালতের রায়ের ভিত্তিতে সকল নদীর সীমানা নির্ধারণ, নির্মোহভাবে দখলদার উৎখাত ও তা দখলমুক্ত, মৃত ও ভরাট নদী ড্রেজিং করে প্রবাহ ও নব্যতা পূনরোদ্ধার এবং নদীর মাটি/পাড় ইজারা দেওয়া বন্ধ করা। ভুমি মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসমূহ, নগর উন্নয়ন সংস্থাসমূহ, বিআইডাব্লিইটিএ, নদী কমিশন, নদী টাস্কফোর্সকে দৃঢ়ভাবে নদীবান্ধব নীতি অনুসরণ করা। নদীতে বাঁধ ব্যারেজ রেগুলেটর বসানোর বেষ্টনীনীতি ভিত্তিক ভুল নদী ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বন্ধ এবং বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনার ২১০০ নামে একই ভুল ব্যবস্থাপনা বন্ধ করা। বাংলাদেশকে জাতিসংঘ প্রণীত পানি প্রবাহ আইন ১৯৯৭ অবিলম্বে স্বাক্ষর এবং সে অনুযায়ী নদী রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ, ভারতকে উক্ত আইন অনুসারে রাজী করাতে হবে ও তার ভিত্তিতে একটি আঞ্চলিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা নীতি ও কৌশল প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে সকল আন্তসীমান্ত নদী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন(বাপা)ও জাতীয় নদী রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম সদস্য খন্দকার শওকত আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অ্যাডভোকেট এসএ মতিন, খোন্দকার মাসুদ হাসান, বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ্ আলম, পরিবেশকর্মী কাজী হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, বাসসের প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম, চ্যানেল নাইন এর ইমরান হোসেন, বিডি খবরের বায়দুর রহমান ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যক্তি, সাংবাদিক, নারীসহ শতাধিক মানুষ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।