শিশুর মাম্পস হলে যা করবেন
মাম্পস মূলত শিশুদেরই রোগ। এতে আক্রান্ত হলে শিশুরা সাধারণত অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং দেখা দিতে পারে কিছু জটিলতাও।
শিশুর জ্বর গালের দুদিকে বা একদিক ফুলে গেলে এবং ব্যথা বা যন্ত্রণা হলে ধরে নিতে হবে এগুলো মাম্পসের লক্ষণ। সাধারণত শীত-বসন্তেই এ সমস্যা দেখা যায়। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হয় পাঁচ থেকে নয় বছর বয়সী শিশুরা। তাদের হাঁচি-কাশি, থুতুর মাধ্যমে রোগজীবাণু অন্যের শরীরে প্রবেশ করে।
মাম্পসের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর এবং দুই গালে (কানের একটু সামনের অংশে) বা একদিকের পেরোটিড গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও তাতে ব্যথা। গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার দু-এক দিন আগে থেকে পাঁচ দিন পর পর্যন্ত মাম্পস সংক্রামক থাকে। আক্রান্ত শিশুকে এ সময় ঘরে রাখাই ভালো। মাম্পস এমনিতে তেমন গুরুতর রোগ নয়, কিন্তু এ থেকে মস্তিষ্কের প্রদাহ বা শুক্রাশয়ের প্রদাহের মতো নানা জটিলতা হতে পারে।
মাম্পসে আক্রান্ত শিশুর যত্ন নিতে হবে। ব্যথার কারণে তারা খেতে চায় না। তরল সহজপাচ্য খাবার একটু একটু করে দিতে হবে। টক ও অ্যাসিডজাতীয় খাবার খেলে ব্যথা বাড়ে। পানিস্বল্পতা যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্যথা ও জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিভাইরাল দেওয়া যেতে পারে।
টিকার মাধ্যমে মাম্পস প্রতিরোধ করা যায়। শিশুদের এমএমআর বা এমআর টিকা প্রথম ডোজ ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সে, দ্বিতীয় ডোজ ছয় থেকে আট বছর বয়সে দিতে হয়। দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া হলে বয়ঃসন্ধিকালের আগে একটা ডোজ নেওয়া প্রয়োজন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।