‘আম্পায়ারদের সন্দেহ পোষণে অবাক’
বোলিং অ্যাকশনের জন্য হঠাৎই আম্পায়ারদের সন্দেহের চোখে পড়েছেন বাংলাদেশের স্পিনার আরাফাত সানি ও পেসার তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটি প্রকৃতপক্ষেই এটি একটি বিশাল দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ তাসকিন ও সানি বাংলাদেশ দলের মূল বোলারদের মধ্যে অন্যতম।
বুধবার নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা। আরাফাত-তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্টও করা হয়েছে টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে।
এদিকে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সমস্যা হলেও বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাসকিন ও সানির খেলতে কোনো বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বৃহস্পতিবার হাথুরুসিংহে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, হ্যাঁ তাসকিন ও সানির বোলিং নিয়ে রিপোর্ট করেছে। তাদের নিয়ে পরবর্তীতে কি হবে সেটা আইসিসি ঠিক করবে। তবে দুজনের খেলতে কোনো বাঁধা নেই। তারা বোলিংও করতে পারবে।
আমাদের দুজন বোলারকে নিয়ে আম্পায়াররা সংশয়ের কথা জানিয়েছে। ওদের অ্যাকশন রিপোর্টেড হয়েছে। আমরা আইসিসির প্রক্রিয়া মেনেই এগোব।
বাংলাদেশ কোচ আরও জানালেন, গোটা দলের কাছে বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে এ খবরটি।
আমাদের জন্য খবরটি ছিল বিস্ময়কর। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ওরা অনেক ক্রিকেট খেলেছে, প্রশ্ন ওঠেনি। যাহোক, আম্পায়ার-ম্যাচ রেফারি সংশয় জানিয়েছে। আমরা সেটা মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমার মনে হয় না, আমরা যেভাবে খেলছি, তাতে এটা কোনো প্রভাব ফেলবে।
তবে কোচ এও জানালেন যে, সানি-তাসকিন যথেষ্ট নির্ভারই আছেন এখন পর্যন্ত। পুরো বাংলাদেশ দল তাদের পাশেই আছে।
ব্যাপারটা হলো ওরা এটাকে কিভাবে নিচ্ছে। এই ছেলে দুটি মানসিকভাবে অনেক শক্ত। ওরা জানে যে ওরা যা করছে ঠিকই করছে। আমাদেরও ওদের অ্যাকশন নিয়ে সংশয় নেই।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বোলারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হলে দুই সপ্তাহের ভেতর আইসিসি অনুমোদিত কোনো ল্যাবে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার ফল না আসা পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়া যাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।