ছোট্ট দ্বীপ কাট্টলি

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকের জলরাশির মাঝে জেগে আছে কাট্টলি বিলের দ্বীপ। চারপাশে লেক বেষ্টিত এই দ্বীপকে দূর থেকে মনে হয় ছোট্ট একটি গ্রাম। এখানে নানান জাতের মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাজার। স্থানীয়দের কাছে এটি কাট্টলি বাজার নামেই পরিচিত।
কাট্টলি দ্বীপে যাওয়ার একমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থা লঞ্চ অথবা ট্রলার। রাঙামাটি হয়ে এখানে যেতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা আর লংগদু হয়ে এই দ্বীপে যেতে সময় লাগে প্রায় দেড় ঘন্টা।
রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার লঞ্চ ঘাট থেকে আমাদের যাত্রা শুরু সকাল সাড়ে দশটায়। লঞ্চের ছাদেই বসবার জায়গা করে নিয়েছি আমরা। সবুজ পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ পানি কাটিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের লঞ্চ। বরকল উপজেলা পেরিয়ে পৌঁছলাম সুভলং ঝর্নায়। শীতের মৌসুম শেষ হওয়ায় এই ঝর্ণা একেবারেই শুকিয়ে গেছে। অবশ্য বর্ষা মৌসুমে এই ঝর্না দর্শনার্থীদের মন কাড়ে। সুভলং বাজার আর্মি ক্যাম্পে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আবারও যাত্রা কাট্টলি বিলের পথে।
লঞ্চ যাত্রার এই পথে শীতের সময়ে অতিথি পাখির দেখা মেলে। বিভিন্ন ধরনের মাছের অভয়ারণ্যের কারণে এই বিল পাখিদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। ছোট সরালি, টিকি হাঁস, গাঙচিল, গাং কবুতর, চখাচখিসহ নানান প্রজাতির পাখির ঝাঁকে মুখরিত থাকে পুরো কাট্টলি বিল।
কাট্টলি বিল নামের ছোট্ট গ্রামে যাওয়ার আগে চোখে পরবে লেকের পাড়ে খুব ফাঁকাফাঁকা বাড়িঘর। শুধুমাত্র মাছ শিকারের কারণেই এখানে মানুষজন বসবাস করে। তবে এখানে যাতায়াতের জন্য প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ছোট নৌকা রয়েছে।
কাট্টলি পৌঁছে প্রথমে চোখে পড়েছে শুটকি শুকানোর দৃশ্য। মূলত মাছ শিকার আর শুটকি শুকাবার জন্যই গড়ে উঠেছে কাট্টলি বাজার। এখানে এসেই আপনি তাজা মাছের স্বাদ নিতে পারবেন। কাট্টলি বিলের গ্রামটি ছেড়ে রওনা এবার লংগদুর দিকে। কারন লংগদু হয়েই বাড়ি ফিরলাম।
যেভাবে যাবেন:
রাঙামাটি হয়ে কাট্টলি আসতে পারেন লঞ্চে চড়ে। ট্রলার ভাড়া করেও যেতে পারবেন। লঞ্চ সকাল সাড়ে সাতটা অথবা সাড়ে দশটায় ছেড়ে যায়। আর ট্রলার ভাড়া করলে গুনতে হবে ২৫০০-২৮০০ টাকা। অথবা খাগড়াছড়ি দীঘিনালা হয়ে লংগদু থেকেও যেতে পারেন এখানে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।