মৌলভীবাজারে ঠেলাচালকের কান কর্তন: আটক ৩
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সালিস বৈঠকের শেষে দায়ের কোপে ঠেলাচালক কান কাটার ঘটনায় তিন জন আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম নাছির মিয়া (৪৫)। তাকে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- রুবেল মিয়া (২২), রুবেলের বাবা ফারুক মিয়া (৪৮) ও ঠেলা চালক ধন মিয়া।
বুধবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে সাত টায় ভানুগাছ বাজার চৌমুনায় অধ্যাপক ফজলুর রহমানের কলনিতে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ১৫/২০ দিন আগে ঠেলাচালক নাছির মিয়া ঠেলাচালক ফারুক মিয়ার স্ত্রী বাচাই বেগমকে(৩৮) দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে কমলগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার গোলাম মুগ্নি মোহিত স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিলে, উভয়পক্ষ বুধবার(৯ মার্চ) রাতে সদর ইউনিয়ণের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম বিচার শালিসে বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। পরে নাছির মিয়া মিষ্টি নিয়ে ঠেলাচলক ফারুক মিয়ার বাড়ীতে যাবার পথে, ফরুক মিয়ার ছেলে রুবেল পেছন থেকে নাছিরের মাথায় দা দিয়ে কোপ মারতে গেলে, কোপটি তার ডান কানে লেগে কানটি কেটে যায়। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আসামি রুবেলের বাবা ফারুক মিয়া ও ঠেলাচালক ধন মিয়াকে আটক করে। অপরদিকে, ঘটনার পরপরই রুবেল পালিয়ে যাবার সময় পৌর কাউন্সিলার গোলাম মুগ্নি, আওয়ামী লীগ নেতা বদরুল আলমসহ এলাকার লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার এস আই কামাল আহমেদ বলেন, আটককৃদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান জানান, ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।