- হোম
- >
- মুক্তিযুদ্ধ
- >
- ‘জীবনভর তিনি নির্যাতেনের চিহ্ন শরীরে বয়ে বেড়িয়েছেন’
‘জীবনভর তিনি নির্যাতেনের চিহ্ন শরীরে বয়ে বেড়িয়েছেন’
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৮ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
আলবদর কমাণ্ডার মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকার আদেশ আসার পর নূরজাহান খান এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমার স্বামী প্রয়াত সাইফুদ্দিন আহমেদ খান মীর কাসেম আলীর আলবদর বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন। জীবনভর তিনি নির্যাতেনের চিহ্ন শরীরে বয়ে বেড়িয়েছেন। আজ তার কথা খুব মনে পড়ছে। আমার স্বামী বেচে থাকলে মীর কাসেম আলীর মুখে থুথু দিয়ে আসতেন। ’
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীর মত অনেক মুক্তিকামী বাঙালিকে মীর কাসেম আলীর নির্দেশে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাদের বেঁধে রেখে অকথ্য নির্যাতন চালানো হয়েছিল। মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায়ে নির্যাতিতদের স্বজনদের আত্মা শান্তি পাবে। যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের বেদনা এ রায়ে কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তারা তো আর কোনদিন স্বজনদের ফিরে পাবেনা। মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম শহরের পুরাতন টেলিগ্রাফ রোডে হিন্দু জমিদারের মালিকানাধীন মহামায়া ভবন দখল করে গড়ে তোলা হয়েছিল আলবদর বাহিনীর টর্চার ক্যাম্প। টর্চার ক্যাম্পের নাম দেয়া হয়েছিল ডালিম হোটেল। ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর সাইফুদ্দিন খানকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল আলবদর বাহিনী ডালিম হোটেলে। সেখানে অকথ্য নির্যাতনের শিকার সাইফুদ্দিন খান ২০০৭ সালে মারা যান। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও নির্মমতার স্মৃতিচহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই টর্চার ক্যাম্প।
একাত্তরে মীর কাসেম আলী আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রামের কমান্ডার হয়ে মুক্তিকামী বাঙালী জনতাকে পৈশাচিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে মীর কাসেম আলী হয়ে উঠেন নির্মমতার প্রতীক।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।