আজ শুধুই নারীদের জন্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০৮ মার্চ, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ- রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্কের সেলাই কারখানায় বিপজ্জনক ও অমানবিক কর্মপরিবেশ, স্বল্প মজুরি এবং দৈনিক ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিরুদ্ধে নারীশ্রমিকরা প্রতিবাদ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ৮ মার্চে উল্লেখযোগ্য আরো ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১৯১০ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক নারী সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা ক্লারা জেটকিনের প্রস্তাবে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়।
এরপর জাতিসংঘ ১৯৭৫ সাল থেকে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন শুরু করে। তখন থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে প্রথমবার এ দিবস পালন করা হয়।
সারা বিশ্বের মতো ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন পালন করেছে। মহিলা এবং শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ মানবাধিকার ও নারী সংগঠনগুলো দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
‘অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মহিলা এবং শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার
বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের নারীরা আজ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, গার্মেন্ট শিল্প তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা, উদ্যোক্তা, সাংবাদিকতা, এভারেস্ট জয়, খেলা, সৃষ্টিশীল এমনকি যুদ্ধবিমান চালানোতেও সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করবে। দেশের সফল নারীদের কাজের স্বীকৃতি জানাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, সমসুযোগ, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দারিদ্র্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারী-পুরুষ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা ও দারিদ্র্যবিমোচনকে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অগ্রভাগে স্থান দিয়েছে।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’ যথার্থ ও সময়োপযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নারী জাগরণের অগ্রদূতদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
গত ৭ বছরে সরকার দেশের নারী সমাজের উন্নয়নে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত এবং মাতৃত্বকালীন ভাতা ও ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা চালু করেছে। এছাড়া বয়স্কভাতা, বিধবা-তালাকপ্রাপ্ত ও নির্যাতিত নারীদের ভাতা কর্মসূচি এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের ভাতা চালু করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এখন মন্ত্রণালয়গুলোতে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট প্রণয়ন করছে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশে বিভিন্ন সরকারি বেসিরকারি চ্যানেলগুলো বিশে আয়োজন করেছে। সাহস পরিবারের পক্ষে তেকে সকল নারীদের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।