আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ (২২ মার্চ) সাতক্ষীরা জেলার ৭৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। চলছে পথসভা, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা। নির্বাচনী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে জেলার চায়ের দোকনগুলোতে। ব্যস্ততা বেড়েছে ছাপাখানার। নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গ করে দেয়ালে লাগানো হচ্ছে পোস্টার।

অন্যদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয় হয়ে উঠছে। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলার দাগী জেলখাটা আসামিরা প্রকাশ্য আসছে বলে জানা যায়। 

জেলার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোবারেক আলী বলেন, তালা থানার এসআই মনিরের উপর হামলা ও মারধর করে চোরাই মটরসাইকেলে ছিনতাইকারী ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলায় জেলখাটা আসামি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তার লোকজন ভোট কেন্দ্র দখলসহ রাতেই ভোট নেওয়া হবে এমন প্রচারণা চালিয়ে। এছাড়া সাধারণ ভোটারদের পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানোর হুমকি দিচ্ছেন। 

এ বিষয়ে তালা উপজেলা রিটানিং অফিসার মনোরজ্ঞন বিশ্বাস জানান, রাতে ভোট কেটে নেওয়া হবে বা সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে এমন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধারণ ভোটাররা বলেন, যে এলাকার উন্নয়ন করেছে, যাকে ভোট দিলে এলাকার উন্নয়নসহ সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে, যাকে সুখে-দুঃখে পাশে পাওয়া যাবে এমন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিবেন তারা।

জেলা নির্বাচন অফিসার আহমেদ আলী জানান, জেলার ৭৮টি ইউনিয়নে আগামী ২২ মার্চ নির্বাচনে ৩৭ জন রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন। চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৫৪ জন, আশাশুনিতে ১১টি ইউনিয়নে ৫৩ জন, কালিগঞ্জে ১২টি ইউনিয়নে ৪৫জন, দেবহাটায় ৫টি ইউনিয়নে ১৪ জন, শ্যামনগরে ১২টি ইউনিয়নে ৫৩ জন, তালায় ১২টি ইউনিয়নে ৬৬ জন ও কলারোয়া উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ৫৮ জন মোট ৩৪৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসময় যে কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হবে বলে জানান তিনি।