মীর কাসেমকে রক্ষার ষড়যন্ত্র রুখতে শাহবাগ দিচ্ছে ডাক
ট্রাইব্যুনালে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়া মীর কাসেমের আপিল বিভাগে চূড়ান্ত রায়কে কেন্দ্র করে নানারকম ষড়যন্ত্র শুরু হয়। একজন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সরকারি সুযোগসুবিধা ভোগ করা অবস্থায় রাষ্ট্রপক্ষের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মীর কাসেমের মামলা লড়েন। এছাড়াও বারবার ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হয় নানা মহল থেকে।
বিগত ৬ মার্চ গণ-অবস্থান থেকে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার এসব অভিযোগ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ৮ মার্চ, আপিল বিভাগে একাত্তরের কুখ্যাত নরঘাতক, চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলের গণহত্যাকারী মীর কাসেম আলীর রায় ঘোষিত হবে। এ দিন সকাল ৮টা থেকে মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় বহালের দাবিতে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান করবে গণজাগরণ মঞ্চ।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ওই দিন সকাল ৮টা থেকে আমরা প্রজন্ম চত্বরে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকব এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে দাবি আদায় করে নেব।
ইমরান আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলো। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডসহ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিভিন্ন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কুখ্যাত ঘাতক বাহিনী আলবদরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমান্ডার ছিলো এই মীর কাসেম আলী। যুদ্ধাপরাধী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ১৯৭৭ সালে নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্রশিবির হিসেবে আবির্ভূত হয়, এই ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলো যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলী। শুধু তাই নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর পুনরুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এই মীর কাসেম আলী।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্টসহ জামায়াতের বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক এই বিত্তবান যুদ্ধাপরাধী। যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবার পর থেকে এই মীর কাসেম মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিচারপ্রক্রিয়া বানচাল করতে লবিস্ট নিয়োগ করেছে বলে বারবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চ মীর কাসেমকে রক্ষার সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার দাবিতে সমাবেশ, গণ-অবস্থান, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচিতে রাজপথে ছিলো গণজাগরণ মঞ্চ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।