নড়াইলে মশার উপদ্রবে পৌরবাসী : দুর্ভোগ শিক্ষার্থীদের
নড়াইল মডেল পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশার উপদ্রব শুরু হয়। মশার উপদ্রবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। রাত ঘনিয়ে আসার আগেই শিক্ষার্থীদের শেষ করতে হয় মশারী টানানোর কাজ। চেয়ার-টেবিল নয় পড়ালেখার কাজটাও তাই সারতে হচ্ছে মশারীর নিচে বসে।
এসএসসি পরীক্ষা চলছে, আর কয়েকদিন পরে শরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। এছাড়া কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। মশার অত্যাচারে পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে। সন্ধ্যার পর কোথাও একটু বসার উপায় নেই। কয়েল জ্বালিয়ে বা মশা দমন করার স্প্রে করেও কাজ হচ্ছে না।
নড়াইল কৃষি ও কারিগরি কলেজের ছাত্র মোঃ খাইরুল ইসলাম জানান, মশার উৎপাত এক কথায় সীমা ছাড়িয়েছে। এক মিনিটের জন্যও পড়ার টেবিলে বসতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে জানা সত্বেও মশার কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে। মশার কামড়ে আমাদের পড়ালেখায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।
অভিভাবকরা জানান, ঘরে-বাইরে সর্বত্রেই দিন রাত সব সময় মশার উৎপাত চলছে। ছেলে-মেয়েরা মশার কারণে একেবারেই লেখাপড়া করতে পারছে না।
এদিকে রূপগঞ্জের একটি কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে মশার কয়েল জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মশা নিধনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কার্যত তেমন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নড়াইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শহরে মশার প্রকোপ কমিয়ে আনতে প্রতিটি ওয়ার্ডে লার্ভিসাইড স্প্রে করা হচ্ছে। ড্রেনের পেড়িমাটি উত্তোলনের কাজও চলছে। এছাড়া উড়ন্ত মশা নিধনে ৭ লিটার করে অ্যাডাল্ট্রিসাইড কর্পোরেশনে মজুদ রয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এজন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। মশা নিধনে মুখ্য ভূমিকা রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।