কুড়িগ্রামে রাজাকারের ছেলেকে আ.লীগের প্রার্থী ঘোষণা
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারী-মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আন্ধারীঝাড় বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বর্তমান সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনার প্রেক্ষেতে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নে মনোনয়ন প্রত্যাশী দু’জন প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেচে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার ইউনিয়ন কমিটির সভা বসে। এতে মনোনয়ন প্রত্যাশী ২নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রাজু আহমেদ খোকনের সমর্থকরা অপর প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্ডলের বিরুদ্ধে মতামতদানকারী সদস্যদের তালিকা কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগ তোলেন। ফজলুল হক মন্ডলের বাবা আব্দুল খালেক মন্ডল ৭১ সালে ওই ইউনিয়নটির শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। মোট ৫৬ ভোটের মধ্যে ফজলু মন্ডল ৪১ এবং খোকন ২৫ ভোট পায়। ভোট শেষে ফজলুল ও খোকনের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোকনের সমর্থকরা কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক অবরোধ করে মিছিল করে। পরে ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ও বাবুল হোসেন সরকার বলেন, ২০১৩ সালের এপ্রিলের প্রথম দিকে আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ফজলুক হক মন্ডল সভাপতি হয়। যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুছ আলীসহ কয়েকজন নেতা জানান, ফজলু মন্ডল রাজাকারের ছেলে। তাকে আমরা নৌকা মার্কার প্রার্থী দেখতে চাই না।
রাজু আহমেদ খোকন বলেন, ইউনিয়নে আমার জনপ্রিয়তা বেশি। দল আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে রাজাকারের পুত্রকে সমর্থন দেওয়ায় নেতাকর্মীরা মিছিল ও মারামারী করেছে।
ফজলুল হক মন্ডল নিজেকে রাজাকারের ছেলে স্বীকার করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ৪ বছর ২ মাস। আমার বাপ-দাদা কি করেছে তার দায়ভার আমি নিব কেন? আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসি, শেখ হাসিনাকে ভালবাসি, জয়কে ভালোবাসি, নৌকা মার্কাকে ভালবাসি। কিন্তু কিছু লোক আওয়ামী লীগকে বিভক্তি করার চেষ্টা করছে।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান সিরাজ বলেন, ওটা কিছু লোকের বোঝার ভুল। ফজলু মন্ডলের জনসমর্থন বেশি। তিনি বেশি ভোট পেয়েছেন। এগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।