গাইবান্ধায় চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণসহ উপ-বৃত্তি প্রদান করে থাকে। এছাড়া চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে ইতোমধ্যে তা জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শতাভাগ সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসলেও বিদ্যালয়গুলোতে তাদের উপস্থিতি অতি নগণ্য।
অন্যদিকে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের বিভিন্ন চর এলাকায় ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উক্ত বিদ্যালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু নজরদারী না থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত উপস্থিত না হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারদের সাথে আতাত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন।
তাছাড়াও বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনিয়মিত গমনাগমনের সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা খেলা-ধুলা ও খোস গল্প করে বাড়ি ফিরছে।
এতে করে চরাঞ্চলের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ভেস্তে যেতে বসেছে বলে ওই সকল এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষা অনুরাগীরা জানান।
কাপাসিয়া বোচাগাড়ি ভুইঞা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবক বজলার রহমান, উজান বুড়াইলের দুলা মিয়া, ভাটি বুড়াইলের লাল চাঁন, গেন্দুরামের ভোলা মিয়া, চাঁন মিয়াসহ অনেক জানান, বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসে ৩/৪ দিনও উপস্থিত থাকেন না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়গুলো থেকে ঠিকমতো লেখাপড়া শিখতে না পেরে কায়িক শ্রমে ব্যস্ত হতে বাধ্য হচ্ছে। কোন উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে দেখা যায় না বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, চরাঞ্চলগুলোতে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ফিরে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।