- হোম
- >
- ধর্ম ও জীবন
- >
- কুড়িগ্রামে বৃক্ষ পুজা
কুড়িগ্রামে বৃক্ষ পুজা
শফিউল আলম শফি
প্রিন্টঅঅ-অ+
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের ৮ শতাংশ জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকা শতবর্ষী একটি বিশাল শিমুল গাছকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন পুজা করে বলে জানা গেছে। ১৬০ ফুট লম্বা শিমুলগাছটি গোড়ার পরিধি প্রায় ৫৮ হাত। গাছটি দুর থেকে বাংলাদেশের স্মৃতিসৌধের মত দেখা যায়। গাছটি দেখার জন্য প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসছেন এবং গাছটি দেখে অভিভূত হচ্ছেন। সম্প্রতি ভারত ও নেপাল থেকে একদল পর্যটক এসে দৃষ্টি নন্দন শিমুল গাছটি দেখে গেছেন।
কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের লোকেরা জানান, গাছটিকে ঘিরে অনেক অলৌকিক ঘটনা ও গল্প আছে। গাছটির বয়স কত? তা জানাতে পারেননি কেউ। গ্রামের শতবর্ষী বৃদ্ধ নলীনি দাস ও বৃদ্ধা মোহিনী বালাসহ প্রবীণ আরো অনেকে শিমুল গাছটি তাদের শিশুকাল থেকে দেখে আসছেন বলে জানান।
কুটিচন্দ্রখানা গ্রামের সর্বোচ্চ বয়স্ক বৃদ্ধ খোকা চন্দ্র বর্ম্মন (১০৮) বলেন, আমার দাদুর কাছ থেকে গাছটির নানান ধরণের গল্প শুনেছি। ধারণা করা হচ্ছে গাছটির বয়স ৩/৪’শ বছর হতে পারে। গাছটিতে মৌমাছির চাকসহ অসংখ্য প্রজাতির পাখির যেন অভয়ারণ্য। বিকেল হলেই টিয়া পাখিসহ বিভিন্ন পাখির কলরবে মুগ্ধ হবে যে কেউ।
গ্রামে গল্প আছে, নারিয়া মামুদ নামের এক ব্যক্তি স্বপ্নযোগো আদিষ্ট হয়ে গাছের নিচ থেকে গুপ্তধন তুলতে গিয়ে তিনি মুখে রক্ত পরে মারা যান। ঐ গাছে নাগ নাগিনীর বসবাস বলেও তারা জানান।
গাছটির মালিক মৃত কোকন চন্দ্রের স্ত্রী কুসুম বালা ও তার বড় ছেলে কিরণ চন্দ্র জানান, একবার পাইকারের কাছে ২০ হাজার টাকায় গাছটি বিক্রি করে দিয়েছি কিন্তু রাতে অলৌকিক স্বপ্ন দেখে পরে ভয়ে টাকা ফেরত দিয়েছি। গাছটির গায়ে দা কুড়াল দিয়ে কোপ মারলে নাকি রক্ত বের হত এমন কথাও শোনা যায়। অনেকদিন থেকে এলাকার মানুষ ‘মানৎ’ করে ঐ গাছে পুজা করে আসছে।
গাছটি বিক্রি করবেন কিনা? এমন প্রশ্ন করলে কুসুম বালা ও কিরণ চন্দ্র জানান, প্রশ্নই ওঠে না। বিক্রি করা তো দুরের কথা গাছটির ডালপালাও কাটা যাবে না। এলাকার মানুষ বিশালাকৃতির দৃষ্টি নন্দন গাছটি দেখতে আসা দর্শনার্থীদের সহযোগীতা করেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।