শেরপুরে জঙ্গল থেকে বিমানবিধ্বংসী কামান উদ্ধার
ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন শেরপুরের সংরক্ষিত বনের মধ্যে মাটির নিচ থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের অভিযানে এসব গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এগুলো প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে মাটির গর্তে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সোমবার ( ১ জানুয়ারি) বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লেঃ কর্ণেল আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘র্যাব-৫ এর একটি দল গোপন সূত্রের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে অভিযান শুরু হয়। সেখানে চারটি গর্ত খুঁড়ে এসব গোলাবারুদ পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত সব অস্ত্র প্যাকেট করা অবস্থায় মাটির নিচে ছিল।
এসব গোলাবারুদ দেখে মনে হয়েছে অন্তত ১০ বছর আগে এসব লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এসব গোলাবারুদ মূলত যুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বিমানবিধ্বংসী কামান তো খুবই ভয়ঙ্কর অস্ত্র। এসব গোলাবারুদের ৯০ শতাংশই ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। খুব যত্ন করে গোলাবারুদগুলো রাখা হয়েছিল।
উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে শক্তিশালী এন্টি এয়ারক্র্যাফট মেশিন গান বা বিমানবিধ্বংসী কামান, ১২ দশমিক ৭ বোরের আড়াই হাজার গুলিও, ২টি হেভি মেশিন গান, ও মেশিনগানের ৪৩ হাজার গুলি। এছাড়া অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে স্নাইপার রাইফেল ২টি, একে-৫৪ রাইফেল একটি, ৭ দশমিক ৬৫ বোরের পিস্তল ২টি, দূরে ও কাছে ব্যবহারের জন্য ১১টি ওয়াকি টকি, এন্টি এয়ারক্র্যাফট মেশিন গানের ব্যারেল ২টি, হেভি মেশিন গানের ব্যারেল ৫টি, আগ্নেয়াস্ত্র ক্লিনিং যন্ত্রপাতিসহ আগ্নেয়াস্ত্রের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামও মিলেছে ওই গর্তগুলো থেকে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এক সময় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই এলাকা ব্যবহার করতো। সম্ভবত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা এসব গোলাবারুদ এভাবে লুকিয়ে রেখে গিয়েছিল।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের অভিযান এখনও শেষ হয়নি। প্রাথমিকভাবে আমরা এগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এরপরও অভিযান চলবে। তবে কেন এবং কি উদ্দেশ্যে এসব আগ্নেয়াস্ত্র এখানে মজুদ করেছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিশেষ করে সাতছড়ি উদ্যান থেকে যেসব ভারি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তার সাথে এসব আগ্নেয়াস্ত্রের মিল রয়েছে। এসব গোলাবারুদ কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কিনা তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলার পর তদন্ত করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।