- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- নীলফামারীতে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় আটক ৩
নীলফামারীতে বন্ধুকে হত্যার ঘটনায় আটক ৩
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সাহেব উদ্দিন ওরফে ঘুটু (১৪) নামের এক কিশোর হত্যার শিকার হয়েছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জলঢাকা থানা পুলিশ সাহেব উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে ঐ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত ঘুটুর তিন কিশোর বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে।
এলাকাবাসী, পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, ওই গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাদশা মাহমুদ রবিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ বাজারে ঝালমুড়ির দোকান নিয়ে বসেন। রাত আটটার দিকে তার ছেলে সাহেব উদ্দিন ঘুটু ওই দোকানে বসে দোকানের টাকাগুনে দেখেন ৪৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে। যা দেখতে পায় ঘুটুর বন্ধু মনোয়ার হোসেন। কিছু সময় পর ঘুটু বাবার ঝালমুড়ির দোকান থেকে বাড়ির দিকে রওনা হয়।
বাজারের অদূরে পথে দাঁড়িয়ে থাকে একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৫) ও হযরত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (১৫)। তারা ঘুটুর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে এক সঙ্গে বাড়ি যেতে চায়। তাদের একজন বিড়ি কিনে এনে বলে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিড়ি খেলে কেউ দেখে ফেলতে পারে। চলো আমরা দোলা (জমি) দিয়েই যাই। শুরু করে সবাই দোলা দিয়েই পথচলা।
কিছুদুর যাওয়ার পর তারা দুজনে মিলে একটি ভূট্টাখেতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ঘুটুকে। এরপর ঘুটুর বুকের উপর চেপে বসে তার বাবার দোকানে বসে যে টাকাগুলো গুনেছিলো ওই টাকা দাবি করে তারা। তার কাছে টাকা না পেয়ে তার গলা চিপে ধরে। এসময় একই গ্রামের আইয়ুব খানের ছেলে টিটু (১১) সে পথ দিয়েই যাচ্ছিল। তারা দুজনে টিটুকেও সঙ্গে নেয়। পরে ঘুটুর মাফলার দিয়ে ঘুটুর গলায় পেঁচিয়ে সেখান থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে একটি বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় বাঁশের গোড়ায় বেধে রাখে ঘুটুর লাশ।
ঘুটুর পরিবারের লোকজন রাতে অনেক খোঁজাখুজি করে ঘুটুকে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে এলাকাবাসী ঘুটুর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এসময় টিটু বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ সালাউদ্দিন ও মনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি টিটুকেও আটক করে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলওয়ার হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টিটুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহত ঘুটুর বাবা বাদশা মাহমুদ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে লাশ মর্গে পাঠানো হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।