যৌনকর্মী নই, সুইসাইড নোটে লিখে গেলেন ধর্ষিতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
প্রিন্টঅঅ-অ+
সুইসাইড নোটে লেখা মাত্র কয়েকটি শব্দ— ‘মরে গেলে কেউ আর আমাকে দেহব্যবসায়ী বলতে পারবে না’। ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল সুইসাইড নোটটি। আর যিনি লিখেছেন, তার মৃতদেহ ঝুলছিল ঘরের সিলিং ফ্যানে।
ভারতের মধ্যপ্রদেশ ভিলাইয়ের ঘটনা। নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেন ধর্ষিতা। তার আগে সুইসাইড নোটে শেষ শব্দগুলি লিখে গিয়েছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ধর্ষিত হয়েছিলেন। অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ঘুরে চলেছে এই আদালত থেকে সেই আদালত। গত এক বছর ধরে শুধু শুনানির পর শুনানি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু শাস্তি পায়নি অভিযুক্তেরা। এক বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারের ধরণে হতাশ হয় পড়েন।
সুইসাইড নোটে তিনি লিখেছেন, “যখনই আদালতে ডাক পড়েছে গিয়েছি, কিন্তু গিয়ে দেখতাম আইনজীবীই হাজির নেই সেখানে।”
ওই নোটে তিনি আরও জানিয়েছেন, আইনজীবীর এ ধরণের কাজে তিনি মানসিক ভাবে যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন। পড়শিদের কটূক্তি, বিচারের অনগ্রগতি—সব মিলিয়ে অবসাদ ধীরে ধারে গ্রাস করেছিল তাঁকে। অবশেষে আত্মহত্যার পথটাকেই বেছে নেন তিনি।
২০১৪-র জুনে ভিলাইয়ে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ওই নারী। অভিযোগ, সেই সময় এক চিকিৎসক ও দুই কনস্টেবল তাঁকে ধর্ষণ করে।
নারীর ভাই জানিয়েছেন, জন্ডিস হয়েছে বলে তিন দিন ধরে হাসপাতালে রেখে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। ওই তিন দিন ধরে মহিলাকে ধর্ষণ করেন। পুরো ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে অভিযুক্তেরা।
ঘটনার প্রায় এক বছর পর ২০১৫-র জানুয়ারিতে মা-বাবাকে বিষয়টি জানান ওই মহিলা। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে বিচার পর্ব চললেও সমাধান মেলেনি। মহিলা ও তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সরকারি আইনজীবীর বিরুদ্ধেও।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।