- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ প্রমাণিত
ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ প্রমাণিত
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননী ও ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে ২৬৮ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু হয়েছে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগের মধ্যে ৪টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রাইব্যুানাল চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলায় রায় ঘোষণা করবেন।
আজ মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট থেকে ননী-তাহের বিরুদ্ধে ২৬৮ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
এর আগে সকাল ১০টায় নেত্রকোনার কারাগার থেকে আতাউর রহমান ননী ও মো. ওবায়দুল হক তাহেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায়কে ঘিরে সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ ছয় ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
প্রসিকিউশনের দাবি, আসামিদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন তারা। অপরদিকে, আসামিপক্ষের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেননি প্রসিকিউশন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী। আসামিপক্ষে ছিলেন আবদুস সোবাহান তরফদার ও গাজি এম এইচ তামিম।
তাহেরের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার ভোগড়া গ্রামে। আর ননীর বাড়ি একই জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কচন্দরা গ্রামে। ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়ার সাবেক ফুটবলার ননী ও তেরীবাজারের ব্যবসায়ী তাহেরকে গ্রেপ্তার করে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। পরে তাদের ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরদিন হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তদন্ত সংস্থা। এরপর একই বছরের ১১ ডিসেম্বর ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছর ২ মার্চ এ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। ননী-তাহেরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২৩ জন সাক্ষী। আসামিদের পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর নাম দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে হাজির করা হয়নি।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।